দৃশ্য এক, বিজেপির নক্ষত্রখচিত মঞ্চ। মালা, উত্তরীয়তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) বরণ করছেন একের পর এক বঙ্গবিজেপির নেতারা। মঞ্চে তিল ধারণের জায়গা নেই। আশেপাশে শোরগোলে কান পাতা দায়।
দৃশ্য দুই, সাজসজ্জায় শান্ত এক ঘর। উপস্থিত ব্যক্তি মাত্র দুই। দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ও রবিশঙ্কর (Ravi Shankar)। ঘরের আলোতে মনে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা।
দৃশ্য তিন, বিজেপির রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে শুভেন্দু, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতারা চেঁচাচ্ছেন – যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জিন্দাবাদ।
দৃশ্য চার, ফেসবুকে দিলীপ ঘোষ লিখছেন, শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সৌভাগ্য হল।
একেবারে বিপরীতধর্মী দুটি ছবি হলেও সময়কাল একেবারে এক। ২২ অগাস্ট ২০২৫। তবে দুটি স্থানের দূরত্ব ১,৮৭৬ কিমি। বিজেপির একসময়ের সারথি প্রধানমন্ত্রীর সভায় আমন্ত্রণ না পেয়ে কোথায় আশ্রয় নিয়েছেন তা তাঁর ফেসবুক পোস্টেই স্পষ্ট। বস্তুত, দলের জন্য আজও আপ্রাণ পরিশ্রম করা দিলীপ যে মোদির থেকে রবিশঙ্করেই বেশি আস্থা রেখেছেন, তা এদিনের তাঁর শহর বদলেই স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: বাংলা বিদ্বেষীকে পাশে বসিয়ে বাঙালি প্রেম! মোদির দ্বিচারিতাকে ধুইয়ে দিল তৃণমূল
দিলীপ ঘোষের আস্থার এই প্রতিসরণে কটাক্ষ বাংলার শাসকদল তৃণমূলের। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেন, যে দলের প্রাক্তন সভাপতিকে, প্রাক্তন সাংসদকে, দলের প্রাক্তন জাতীয় স্তরের সহসভাপতিকে প্রধানমন্ত্রীর সভার দিন বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) আর্ট অফ লিভিংয়ে চলে যেতে হয়, সেই দলের প্রতি দলের নেতৃত্বদেরই আস্থা নেই। সেই দলের প্রধানমন্ত্রীর কথায় বাংলার মানুষ আস্থা রাখবেন না কি? দিলীপ ঘোষ প্রাক্তন সভাপতি, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সভার দিন প্রধানমন্ত্রীর সভার উপর আস্থা রাখতে না পেরে বেঙ্গালুরুতে শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের কাছে চলে গিয়েছেন।
–
–
–