১৯৪৭ সালে ২২ জুলাই ভারতীয় তেরঙ্গাকে দেশের জাতীয় পতাকা হিসেবে গ্রহণ করার স্মৃতি হিসেবে এই দিনটি ‘জাতীয় পতাকা দিবস’ (National Flag Day) হিসেবে পালিত হয়। এবছর শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স (Shyam Sundar Co Jewellers) সুন্দরবনের ‘বেলা সাহা স্মৃতি বিদ্যা মন্দির’- শ্রদ্ধার সঙ্গে জাতীয় পতাকা দিবস উদযাপন করেছে।অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত নৃত্য গুরু সুদর্শন চক্রবর্তী, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রোটারি ক্লাব অফ ক্যালকাটার প্রেসিডেন্ট তপন পট্টনায়ক, শিল্পী দেবাশীষ বসু, ও শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের ডিরেক্টর রূপক সাহা (Rupak Saha)।

সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত বেলা সাহা স্মৃতি বিদ্যা মন্দিরের দায়িত্বভার ‘শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জাতীয় পতাকার তাৎপর্য বোঝানোর জন্য এক শিক্ষামূলক কর্মসূচির আয়োজনও করা হয়। পাশাপাশি জাতীয় পতাকার মধ্যে থাকা রং গুলি আসলে কীসের প্রতীক ও কী বার্তা দেয় তাই বোঝানো হয়। শিক্ষার্থীদের দেশাত্মবোধক গান, নাচ ও আবৃত্তির মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠে।এই উপলক্ষে, সুদর্শন চক্রবর্তী সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন ,” জাতীয় পতাকা দিবস প্রত্যেককে উজ্জীবিত করে। বেলা সাহা স্মৃতি বিদ্যা মন্দির এর শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠান আমার মন ছুয়ে গেছে। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করলে এদের মধ্য থেকেও অনেক শিল্পী পাওয়া যাবে।” শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের ডিরেক্টর রূপক সাহা বলেন, “সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়ার জন্য বেলা সাহা স্মৃতি বিদ্যামন্দির স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা। এই স্কুলের নামকরণ করা হয়েছে আমার প্রয়াত মায়ের নামে, যিনি তাঁর জীবদ্দশায় অগাধ জ্ঞানের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিলেন। যাঁরা তাঁর সান্নিধ্যে এসেছিলেন সেই অনুসারীরাও এখনও তাঁর কাজের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে চলেছেন – সেই লক্ষ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। মায়ের স্মৃতিতে নামকরণ করা এই স্কুলের সঙ্গে আমাদের এক ভীষণ আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। তাই আমরা ‘বেলা সাহা স্মৃতি বিদ্যা মন্দির’কে আরও সার্থক করার জন্য এধরনের কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

এই অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সামগ্রিক বিকাশ এর জন্য শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স ৫ লক্ষ ৫০ হাজার একটি চেক বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির হাতে তুলে দেয়। তাছাড়াও শিক্ষার্থীদের হাতে পড়াশুনার নানা সামগ্রী ও বর্ষার মোকবিলা করার জন্য প্রত্যেককে একটি করে ছাতা দেওয়া হয়।

–

–

–

–

–
–

–

–
–
–
–
–