বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপরে নিগ্রহের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করতে রাজ্য বিধানসভার (Assembly) বিশেষ অধিবেশন ডাকা হচ্ছে। ৮ অগাস্ট থেকে ২১ অগাস্ট পর্যন্ত বিধানসভার ওই বিশেষ অধিবেশন চলতে পারে বলে পরিষদীয় দফতর সূত্রে খবর। পরিযায়ী শ্রমিক সংক্রান্ত প্রস্তাব ছাড়াও চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিল ওই অধিবেশনে পেশ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। পরিষদীয় এবং আইন দফতরের মধ্যে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। বিলগুলির খসড়া চূড়ান্ত হলে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee) আনুষ্ঠানিকভাবে অধিবেশনের ঘোষণা করবেন।

২১ জুলাই শহিদ দিবসের সমাবেশে এই প্রসঙ্গেই বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর অভিযোগ, “পরিযায়ী বাঙালিদের উপর ভাষাগত সন্ত্রাস চালাচ্ছে বিজেপি।” একইসঙ্গে ঘোষণা করেন ‘ভাষা আন্দোলন’-এর। ২৭ জুলাই থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হবে এই আন্দোলন। মমতার হুঁশিয়ারি, “বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের উপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে, বৃহত্তর আন্দোলনের ঢেউ উঠবে দিল্লিতেও।”

সেই সুরেই সোমবার থেকেই সংসদের অধিবেশনে আরও বেশি করে বাংলা ভাষায় কথা বলবেন তৃণমূল সাংসদরা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জানিয়েছেন, “সংসদে ভাষান্তরকের ব্যবস্থা রয়েছে। যে কোনও সাংসদ অধিবেশন শুরুর এক ঘণ্টা আগে নিজস্ব মাতৃভাষায় কথা বলার জন্য লিখিতভাবে জানালে, তা অনুবাদ করে শোনা যায়।”

এর আগেই কলকাতায় ভাষা-নিপীড়নের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ মিছিল করেছে তৃণমূল। এবার বোলপুরে আরও একটি বৃহৎ মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লির পথে বৃহত্তর প্রতিবাদ কর্মসূচির ইঙ্গিতও মিলেছে।

এই আবহেই আগস্টের শুরুতেই বিধানসভায় (Assembly) বিশেষ অধিবেশন ডাকার সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। রাজ্যের দাবি, পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর ভাষাগত বৈষম্য এবং নিগ্রহের বিরুদ্ধে এই লড়াই শুধুই এক রাজ্যের নয়, জাতীয় স্তরের প্রশ্ন হয়ে উঠছে।
আরও খবর: ১৯৫৬-র বীরভূমের দলিল দেখেও দিল্লিতে ‘বাংলাদেশি’ তকমা! মমতার দিকে তাকিয়ে সুইটির পরিবার

–

–

–

–

–

–
–
–
–