আকাশভাঙা বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল বজ্রপাত। আর সেই বজ্রাঘাতে একদিনে প্রাণ হারালেন রাজ্যে অন্তত ১৭ জন। বুধবারের এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও দক্ষিণ দিনাজপুর সহ একাধিক জেলায়।

সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে বাঁকুড়া জেলায়। ওন্দায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। পাত্রসায়র, কোতুলপুর, ইন্দাস, বিষ্ণুপুর ও জয়পুর মিলিয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পাত্রসায়রের জীবন ঘোষ (৫০), ইন্দাসের ইসমাইল মণ্ডল (৫৫), বিষ্ণুপুরের মদন বাগদি (৭০), কোতুলপুরের জিয়াউল হক মোল্লা (৪০), জয়পুরের উত্তম ভুঁইয়া (৩৮), ওন্দার তিলকা মাল (৪৯), জবা বাউড়ি (৩৮), নারায়ণ সোয়ার (৪৮) ও প্রতিমা রায় (৪১)।

পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মাধবডিহির সনাতন পাত্র (৬১), তেণ্ডুুলের অভিজিৎ সাঁতরা (২৫), মঙ্গলকোটের বুড়ো মাড্ডি (৬৪), খণ্ডঘোষের পরিমল দাস (৩৫), আউশগ্রামের রবিন টুডু (২৫)।

পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায় মৃত্যু হয়েছে লক্ষ্মীকান্ত পান (৪২)-এর। পুরুলিয়ার গুড়িডির সুমিত্রা মাহাতো (৪৫) এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের ভগবতীপুরের কমল সরকার (৫৬)-এর মৃত্যু হয়েছে বজ্রাঘাতে।

এদিকে, বঙ্গোপসাগরে ফের একটি ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এই নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

উত্তরবঙ্গে শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। সমুদ্র থাকবে উত্তাল। তাই আগামী সোমবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা অনুযায়ী, রাজ্যবাসীকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সময় খোলা জায়গায় না যাওয়ার জন্য।

আরও পড়ুন – অতীন-শান্তনু গোলমালে উত্তপ্ত সিঁথি, বহিরাগত এনে অশান্তির অভিযোগ শান্তনুর

_

_

_

_
_
_
_
_