দীর্ঘ অপেক্ষা। দীর্ঘ আন্দোলন। সব বিফল করে অপরাজিতা বিল (Aparajita Bill) ফেরৎ পাঠালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu)। বাংলায় নারীর সম্মান রক্ষার লড়াইতে এগিয়ে যাওয়ার বদলে ফের একধাপ পিছিয়ে আসতে হল বিজেপির মারাত্মক অভিসন্ধিতে। যদিও গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে সরকারের পক্ষ থেকেই পরবর্তী পদক্ষেপ প্রস্তুত করা হবে। তবে শাসকদল তৃণমূলের দীর্ঘ দাবি রাষ্ট্রপতি ফিরিয়ে দেওয়ায় বিজেপির কেন্দ্রের সরকারের অভিসন্ধি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

রাজভবন (Rajbhavan) সূত্রে খবর, স্বাক্ষর করার বদলে রাজভবনে ফেরৎ পাঠানো হয়েছে অপরাজিতা বিল। ফলে এখনই আইনি স্বীকৃতি পাওয়া সম্ভব নয় নারীর সম্মানে তৈরি হওয়া এই বিলের। সূত্রের দাবি, এই বিল নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে রাজভবনে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ধর্ষণ, খুনের মতো অপরাধে ফাঁসির সাজা-কে (capital punishment) অত্যন্ত নিষ্ঠুর বলে দাবি করা হয়েছে।

যে আইন প্রণয়নের জন্য আর জি করের ঘটনার পরে তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ফাঁসির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন, যে বিল বিধানসভায় পাশ হয়েছে সর্বসম্মতিক্রমে, এবার সেই বিলের আইনে পরিণত হওয়ার শেষ ধাপে আটকে যাওয়ায় প্রশ্ন তুলেছে শাসকদল। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, অপরাজিতা বিল যা ফেরৎ পাঠানো হয়েছে তা অত্যন্ত আপত্তিকর, নিন্দনীয় ও প্রতিবাদযোগ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নারীদের অপমান থেকে ধর্ষণ, খুনের মতো অপরাধ যাতে আর কেউ করার সাহস না করে, সেই লক্ষ্য নিয়ে অপরাজিতা বিল করেছিলেন। বার বার বলা হয়েছিল এটাতে অনুমোদন দিন।

আরও পড়ুন: অভিজিৎ-মৃত্যু তদন্তে হাই কোর্টে ভর্ৎসিত CBI: ‘বিজেপির আবদারে’ মামলায় কটাক্ষ তৃণমূলের

তবে রাজভবনে ফেরৎ আসা বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। সেকথা স্পষ্ট করেও বিজেপির অভিসন্ধি স্পষ্ট করেন কুণাল। তিনি বলেন, এটা প্রমাণ হয়ে গেল যে এই বিজেপি নারী নির্যাতনকারীদের সর্বোচ্চ সাজা (capital punishment) মৃত্যুদণ্ড দিতে প্রস্তুত নয়। কারণ এদেরই সাংসদরা শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত।
–

–

–

–
–
–

–

–
–