বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনে ধৃত পুলিশ অফিসার রত্না চক্রবর্তীর জামিন মামলায় শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের (Justice Shubhara Ghosh) সঙ্গে গোলমাল আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee)। ‘দুর্ব্যবহার’-এর অভিযোগে বিচারপতির বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন কল্যাণ। এদিক, মামলাটি ছেড়ে দেন ক্ষুব্ধ বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ।
২০২১ সালে কাঁকুড়গাছির বিজেপি (BJP) কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় কলকাতা পুলিশের তৎকালীন নারকেলডাঙা থানার ওসি শুভজিৎ সেন ও সুজাতা দে, তৎকালীন এসআই রত্না সরকার এবং হোমগার্ড দীপঙ্কর দেবনাথকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেই মামলায় তাঁর মক্কেলের জামিনের আবেদন করেন কল্যাণ Kalyan Banerjee)। সোমবার মামলা গৃহীত হয়। মঙ্গলবার, শুনানিতে বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ বলেন, তিনি সিবিআই-এর মত শুনতে। চান। সেই মতো, শুক্রবার শুনানির দিন ধার্য হয়। এদিন, বিচারপতি এই মামলার রায় দিতে চাননি। শুধু তাই নয়, তাঁকে সোমবার রায়ে দিতে আর্জি মানেননি তিনি। জানিয়ে দেন ১৫দিন পরে মামলা শুনবেন।
এই কথা শুনেই ক্ষুব্ধ কল্যাণ বলেন, এটা হতে পারে না। আমি সংসদের অধিবেশন ছেড়ে বৃহস্পতিবার ফিরলাম শুধু এই মামলার জন্য। আমার মক্কেল ১৫দিন বন্দি থাকবেন, আপনি মামলা শুনতে পারবেন না বলে! এটা হয় না। এই শুনে ক্ষুব্ধ বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ বলেন, আপনি কী ছেড়ে এসেছেন, সেটা আপনার ব্যাপার। আমি এখন রায় দিতে পারব না।
এর পরেই কল্যাণ বলেন, ”আমাদের বিচারপতিদের কৃপার দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। এটাই দুর্ভাগ্য।” এই কথা শুনে মেজাজ হারান শুভ্রা ঘোষ। বলেন, “অনেকক্ষণ ধরে আদালত সম্পর্কে নানা মন্তব্য করছেন। আপনার লেকচার আদালত শুনবে না।” এর পরই বিচারপতি ঘোষণ জানান, ”আমি এই মামলা ছেড়ে দিচ্ছি। অন্য কোনও বেঞ্চে যান।”
এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ আইনজীবী কল্যাণ। তাঁর কথায় আগেও অর্জুন সিং-এর একটি মামলায় রাজ্যের তরফ থেকে তিনি লড়েছিলেন। সেখাও অর্ন্তর্বতীকালীন জামিন মামলায় তাঁকে আক্রমণ করা হয়। এদিনের বিষয় নিয়ে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন কল্যাণ। এখন কোন বেঞ্চে জামিন মামলা যায়, সেটাই দেখার।
–
–
–
–
–
–
–
–