আলিপুর চিড়িয়াখানায় পশুর সংখ্যায় গরমিলের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে রাজ্যের বন দফতর (forest department)। শুক্রবার বিধানসভায় বনমহোৎসব উপলক্ষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda)।
বনমন্ত্রী বলেন, “চিড়িয়াখানায় পশুদের তালিকা নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠেছে। সেই সূত্রেই প্রাথমিক স্তরে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।” তবে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, চিড়িয়াখানা (Alipore zoo) থেকে কোনও পশু ‘লোপাট’ হয়ে গিয়েছে, এমন কোনও তথ্য আপাতত বন দফতরের (forest department) কাছে নেই।তাঁর কথায়, “এই মুহূর্তে পশু নিখোঁজ বা পাচার হওয়ার কোনও প্রমাণ আমাদের কাছে নেই। যেহেতু কিছু গরমিলের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, তাই নিয়ম মেনেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
সম্প্রতি একটি অভ্যন্তরীণ পরিদর্শনে পশুদের সংখ্যা সংক্রান্ত নথিপত্রে অসঙ্গতি নজরে আসে। তাতেই সন্দেহ তৈরি হয়, চিড়িয়াখানার (Alipore zoo) রেকর্ডে যে সংখ্যা আছে, বাস্তবে পশুর সংখ্যা কি তা-ই? এই নিয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়। এরপরই তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় বন দফতর। চিড়িয়াখানার আধিকারিকদের থেকে ইতিমধ্যেই তথ্য চাওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। তদন্ত রিপোর্ট হাতে এলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে বন দফতরের তরফে।
২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের হিসাবেই মূলত সমস্যা ধরা পড়ে। একদিনের মধ্যে সংখ্যার বিস্তর হেরফের ধরা পড়ায় প্রশ্ন ওঠে পশু ‘লোপাট’ (missing) সংক্রান্ত। একদিকে স্তন্যপায়ীর সংখ্যা বিস্তর কমে যায়। অন্যদিকে বিপদগ্রস্ত পশুর সংখ্যা শূন্যে নেমে যায়। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ অবশ্য গোটা বিষয়টিকে ‘লেখার ভুল’ বলে দাবি করেছে। তাদের দাবি, বার্ষিক রিপোর্টে তথ্য ত্রুটি হয়েছে মূলত নথিভুক্তির সময়ের ভুলের কারণে।
আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যের বাঙালিদের সাহায্যে পুলিশের হেল্পলাইন নম্বর: দিশাহার বিরোধী দলনেতা
তবে আদালতে মামলা ওঠার আগেই কেন্দ্রীয় কমিটি আলিপুর চিড়িয়াখানায় তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই সেই তদন্তে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। স্তন্যপায়ী ও সরীসৃপদের শুমার (census) করা হয়েছে। তাতে পশুর সংখ্যা অনেকটাই বৃদ্ধি নথিভুক্ত বলে জানানো হয়। অন্যদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পশুর শুমারেও অসংগতি নেই। এরপর পাখির শুমার হলে গরমিল সংক্রান্ত প্রশ্নের সব উত্তর পাওয়া যাবে।
–
–
–
–
–
–
–
–