প্রশাসনের অব্যবস্থায় স্কুলের ছাদ ভেঙে নিজেদের স্কুলেই প্রাণ গিয়েছে সাত শিশুর। তবে ছোট ছোট পড়ুয়াদের জন্য যে আরও শোচনীয় অবস্থা প্রস্তুত রেখেছিল রাজস্থানের (Rajasthan) বিজেপি প্রশাসন, তা হয়তো শোকার্ত পরিবারগুলিও ভাবতে পারেনি। অন্তিম সংস্কারে (last rites) অব্যবস্থায় চিতার কাঠ পেলেন না এক মৃত ছাত্রী। শেষে টায়ার (tyres) জ্বালিয়ে সৎকার করতে হল সেই ছাত্রীর। বিজেপি প্রশাসনের চরম উদাসীনতায় সরব বিরোধীরা।

বিপজ্জনক স্কুল বাড়িতে স্কুল চলাকালীন মাথার উপর ভেঙে পড়ল ছাদ। কোনও ক্রমে ধ্বংস্তুপ থেকে উদ্ধার করে ৩২ পড়ুয়াকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও সাত শিশুকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শনিবার সেই সাতজনের দেহ ময়নাতদন্তের পরে তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে অন্তিম সংস্কারের জন্য।

এদের মধ্যে ছয় শিশুর অন্তিম সংস্কার পিপলোদী গ্রামে হয়। আরেক ছাত্রীর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় চাঁদপুরায় তাঁরা নিজের গ্রামে অন্তিম সংস্কারের জন্য। গ্রামে দেহ পৌঁছতেই শোকে গোটা গ্রাম ভেঙে পড়ে। আকস্মিক দুর্ঘটনায় এভাবে ১২ বছরের পড়ুয়ার চলে যাওয়ায় বিস্ময় আর ক্ষোভ ছড়ায় গ্রামে। বিক্ষোভ ঠেকাতে মোতায়েন করা হয় পুলিশ বাহিনী। কিন্তু যে অন্তিম সংস্কার হওয়ার জন্য দেহ আনা হয়, সেই সংস্কারের ব্যবস্থাই করেনি প্রশাসন।

চিতার উপর দেহ শোয়ানো হলেও চিতার কাঠ ভিজে থাকায় দীর্ঘক্ষণ চেষ্টাতেও জ্বলেনি চিতা। গ্রামবাসীরাই জোগাড় করেছিলেন সেই কাঠ। শেষে পুরোনো টায়ার (rejected tyres) জোগাড় করে সৎকার (last rites) করা হয় দেহ। গ্রামবাসীরা জানান বর্ষায় চিতা (pyre) জ্বালানোর কাঠ রাখার কোনও জায়গাই নেই গ্রামে। ফলে ভেজা কাঠে দাহ করতে সমস্যা হলে রাজস্থানের এই গ্রামে এভাবেই মানুষের অন্তিম সংস্কার হয় বলেও জানান গ্রামবাসীরা।

আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামের জিতুশোলে লরি আটকে হাতির দাদাগিরি, অবরুদ্ধ লোধাশুলি রাজ্য সড়ক

এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। অভিযোগ তোলা হয়, স্কুলের ছাদ ভেঙে পড়ার ঘটনায় সরকারের কুকীর্তি ধামাচাপা দিতে ব্যস্ত রাজস্থানের বিজেপি সরকার। মন্ত্রীদের ভিআইপি ট্রিটমেন্ট দিতে ব্যস্ত। সেই সরকার শিশুদের অন্তিম সংস্কার করারও ব্যবস্থা করেনি। গবীর পরিবারকে পুরোনো টায়ার জোগাড় করে দেহ সৎকার করতে হয়েছে।

–

–

–

–

–
–
–
–