Sunday, November 9, 2025

বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকারের এজেন্সি ভোটার তালিকায় নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত শুরু করেছে। বাংলার নাম বাদ দিয়ে দেখুন, দামামা বাজিয়ে দেব। জো হামসে টকরায়েগা চুর চুর হো যায়ে গা। সোমবার বোলপুরে ভাষা আন্দোলনের সূচনা করে কেন্দ্রীয় সরকার বিজেপিকে একযোগে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, দেশের এক মন্ত্রী কো-অপারেশন ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ছিলেন, তিনি এসে ডবল ইঞ্জিন সরকারের মতামত নিয়ে ভোটার তালিকায় থেকে নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত করছেন। আমরা মুখ বুজে এসব সহ্য করব না। লড়াই চলবে।

এদিন কেন্দ্র ও কমিশনকে একহাত নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, বলছে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে গেলে এপিক কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড বা বাড়ির দলিলেও হবে না। গুজরাট থেকে বসে লিস্ট ঠিক করছে। গুজরাত আমার শত্রু নয়। কিন্তু কেন এটা হচ্ছে? এটা তো বিজেপির এজেন্সি করছে। তারপরই নেত্রীর তোপ, বাংলায় নাম বাদ দিয়ে দেখুন। ছৌ নাচ দেখবেন। ধামসা-মাদল দেখবেন। দামামা বাজিয়ে দেব। জেনুইন ভোটারদের নাম বাদ দিয়ে মানুষকে হয়রানি করবেন না। আমি বেঁচে থাকতে এনআরসি করতে দেব না। হরিয়ানায় দশটা ডিটেনশন ক্যাম্প করেছে। অসমের ১০ লক্ষ লোকের নাম বাদ দিয়েছে। বাংলায় কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না। জো হামসে টাকরায়েগা চুর চুর হো যায়ে গা। নেত্রী বলেন, মা-বোনেদের শঙ্খধ্বনি-উলুধ্বনির সঙ্গে পারবেন তো? তারা ঘরেও কাজ করে, বাইরেও কাজ করে। আবার হাতে খুন্তি দিয়ে রান্নাও করে। আপনাদের মতো বন্দুকগুলি নিয়ে যাব না, শঙ্খধনি নিয়ে যাব।

নেত্রীর তোপ, যারা বলছে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেবে, যেন দেশটা ওদের জমিদারি! তোমাদেরই বাদ দিয়ে দেবে দেশের মানুষ। একটা মানুষের ঠিকানা কেড়ে নিলে তোমাদেরও ঠিকানা থাকবে না। সরকারে আছো যা ইচ্ছা করছো। মনে রেখো এই সরকার ২০২৯ পর্যন্ত চলবে না। তখন কোথায় যাবে? জাতীয় স্তোত্র রচনা করেছেন বঙ্কিমচন্দ্র, জাতীয় সঙ্গীত রবী্ন্দ্রনাথের, জয় হিন্দ নেতাজির, তারপরও বাংলা ও বাঙালিকে তোমরা কী করে ‘ইগনর’ করবে! এই শান্তিনিকেতনের বাউল, গানের ভাষায় যে কত জোর সেটা এবার বুঝবে। লড়াই হচ্ছে, লড়াই হবে।

তিনি বলেন, বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি নয়! আমাদের ভাষাকে নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করলে, ঠিকানা কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত হলে তা আমরা রুখবই। এই রাঙামাটিতে দাঁড়িয়ে বলছি, সংহতি, সম্প্রীতি, ঐক্য নিয়ে আমরা চলব। আমরা সবাই এক, আমাদের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই। ভাষার উপর সন্ত্রাস মানব না। বাংলাকে বঞ্চনা-লাঞ্ছনাও মানব না। এনআরসি চলবে না। কারও নাম বাদ দেওয়া যাবে না।

বিশ্বকবির স্বপ্নের বোলপুর-শান্তিনিকেতন থেকে ‘বিভেদ নয়, ঐক্যে’র বার্তা দিয়ে ভাষা আন্দোলনে যোগদানকারী সবাইকে প্রণাম ও ধন্যবাদ জানান তৃণমূলনেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কেন্দ্রকে স্মরণ করিয়ে দেন, ইতিহাসকে ভুলে যাবেন না, বাংলার গুরুত্ব ভুলে যাবেন না। আমরা নেপালি, হিন্দি-সহ সকল ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছি। আমরা যদি বড় মন নিয়ে স্বীকৃতি দিতে পারি। আপনারা কেন বাংলাকে তাচ্ছিল্য করছেন? মনে রাখবেন সারা পৃথিবীতে বাংলায় কথা বলে পঞ্চম। এশিয়াতে বাংলাভাষা দু’নম্বরে।

Related articles

কাশ্মীরে সরকারি হাসপাতালে জঙ্গি যোগ! চিকিৎসকের লকার থেকে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র

মুখে যতই বড় বড় কথা বলুন না কেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ভূস্বর্গে যে জঙ্গিদের কার্যকলাপ বেড়েই চলেছে তার আরও এক...

টানা দুদিন তাপমাত্রা কুড়ির নীচে, রবির সকালে দক্ষিণবঙ্গে ভরপুর শীতের আমেজ 

উইকেন্ডে পারদ পতন অব্যাহত, আগামী সপ্তাহের মাঝে মাঝে পর্যন্ত শীতের আমেজ (Winter in Weekend) পুরোপুরি উপভোগ করতে পারবে...

KIFF: রবিবাসরীয় ফিল্মোৎসবে হলিউড ক্লাসিক ‘ব্লু ভেলভেট’ দেখার সুযোগ, দুপুরে ফেলুদার নস্টালজিয়া!

দেখতে দেখতে তিন দিন পার, উদ্বোধনের দিনটাকে হিসেবের মধ্যে ধরলে আজ ৩১ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের (31st...

বেঁচে থাকলে রবীন্দ্রনাথ-নজরুলকে অনুপ্রবেশকারী বলে দাগিয়ে দিত! পুরুলিয়ার সভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ দেবাংশুর

ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ, নজরুল বেঁচে নেই। নইলে বিজেপি রবীন্দ্রনাথকে রোহিঙ্গা ও নজরুলকে অনুপ্রবেশকারী বলে দাগিয়ে দিত। শনিবার পুরুলিয়া শহরের...
Exit mobile version