সরকারের সদিচ্ছা সত্ত্বেও কোর্টের মামলার জেরে থমকে রয়েছে রাজ্যের একাধিক ক্ষেত্রে নিয়োগপ্রক্রিয়া। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিরোধীদের উস্কানিতেই সোমবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চ, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, যৌথ মঞ্চ, সরকারি কর্মচারী পরিসর পশ্চিমবঙ্গের মতো একাধিক সংগঠন ও মঞ্চ। কিন্তু যথেষ্ট সমর্থন ও প্রস্তুতির অভাবে শেষমেশ স্থগিত হয়ে গেল আন্দোলন। এদিন বিকেল গড়াতেই আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন আন্দোলনকারীরা।

রাজ্যের সদিচ্ছা থাকলেও মামলা আদালতে বিচারাধীন থাকার কারণে রাজ্যের কয়েক লক্ষ তরুণ তরুণীর চাকরি আটকে রয়েছে। তবে সবদিক দিয়ে এইসব আইনি জট খুলে নিয়োগের চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। আর এই আদালতের মামলায় ইন্ধন যোগাচ্ছে বিরোধীরা। বিরোধীরা একপ্রকার চক্রান্ত করেই আদালতের মামলা করে লক্ষ লক্ষ চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত করছে। আর বিরোধীদের এই উস্কানিতে পা দিয়েই সোমবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেন পশ্চিমবঙ্গ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চ’, ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’, ‘যৌথ মঞ্চ’, ‘সরকারি কর্মচারী পরিসর’—এইসব সংগঠনগুলি। তবে একত্রিত হয়ে আন্দোলনের ডাক দিলেও বাস্তবে মাঠে ততটা জনসমর্থন দেখা যায়নি। প্রস্তুতির অভাব, লোকবলের অভাব সহ একাধিক কারনে শেষমেষ সুপার ফ্লপ হয়ে যায় সোমবারের এই নবান্ন অভিযান। তবে ভবিষ্যতে আরও বড় আন্দোলনে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা ও জনস্বার্থের কথা মাথায় রেখে সোমবারের নবান্ন অভিযানের অনুমতি দেয়নি হাওড়া সিটি পুলিশ। এই প্রসঙ্গে হাওড়ার নগরপাল প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি জানান, গত ১২ জুলাই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, পশ্চিমবঙ্গ বঞ্চিত চাকরিহারা, চাকরি প্রার্থী ও চাকরিজীবীদের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচির জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। তবে নিরাপত্তা ও জনস্বার্থের কথা মাথায় রেখে পুলিশ ওই কর্মসূচির অনুমোদন দেয়নি।

আরও পড়ুন- মায়ের প্রাণভিক্ষা চেয়ে ইয়েমেনে আবেদন মিশেলের, মৃত্যুদণ্ডের মুখে ভারতীয় নার্স

_
_

_

_

_
_
_

_

_
_
_