SIR-এর নামে তালিকা থেকে আসল ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত করছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। এই বিষয়ে সতর্ক হতে সোমবারের পরে, মঙ্গলবারও নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার ইলামবাজারের পরিষেবা প্রদান মঞ্চ থেকে BJP-র ‘চক্রান্ত’ রুখতে বীরভূমের দুই তৃণমূল (TMC) নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandol) এবং কাজল শেখকে একসঙ্গে মাঠে নামার নির্দেশ তৃণমূল সুপ্রিমো।

SIR-এর করে ভোটারদের নাম বাদে চক্রান্ত করছে কেন্দ্রের মোদি সরকার- দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযোগে সরব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বাংলাভাষীদের উপর ভিনরাজ্যে আক্রমণের বিরুদ্ধে সরব হন মমতা। একই সঙ্গে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কেন্দ্রীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো। বলেন, “অসম, ওড়িশা, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ-সহ সমস্ত ডবল ইঞ্জিন সরকার অর্থাৎ বিজেপি শাসিত রাজ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে বাঙালিদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। আসলে বাংলায় প্রতিভা, পরিশ্রমের সঙ্গে পেরে উঠছে না বলে এত অত্যাচার।“

এর পরেই তৃণমূল সভানেত্রীর বার্তা, “সবাই নতুন করে ভোটার তালিকায় নাম তুলবেন। আসল লোকের নাম যেন বাদ না যায়। এভাবে এনআরসি চালুর ষড়যন্ত্র চলছে। অসমেও হয়েছে, বাংলাতেও ওরা চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রাণ থাকতে আমরা এনআরসি হতে দেব না, রুখে দেব। কারও নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ গেলে প্রতিবাদ করবেন, বিএলও-কে বলবেন। বলবেন, এটা আপনার সাংবিধানিক অধিকার, আপনার রক্ষাকবচ। সংখ্যালঘু ভাইদের বলছি, যাঁরা বাইরে কাজে গিয়েছেন বা যান শুধু ঈদে এলে হবে না, ভোটার লিস্টে নামটাও তুলতে হবে।” এই বিষয় নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল-কাজল শেখদের ময়দানে নামার নির্দেশ দেন মমতা। শতাব্দী রায়-সহ জেলার সবকে নেতৃত্বকে নিজের নিজের এলাকায় নজরদারির পরামর্শ দেন তৃণমূল সভানেত্রী।
আরও খবর: স্থানীয় মানুষের আবেগ উস্কে ‘জয়দেব সেতু’র উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর, সঙ্গে একগুচ্ছ শিলান্যাস-উদ্বোধন

–

–
–

–

–

–
–
–

–

–
–