এমারেল্ট ট্রাইঅ্যাঙ্গেল নয়, ভুয়ো দেশাত্মবোধ গড়ে তুলতে গিয়েই থাইল্যান্ডের সঙ্গে কম্বোডিয়ার অহেতুক যুদ্ধ। সোমবার মধ্যরাতে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর গোটা ঘটনায় কম্বোডিয়ার রাজনৈতিক নেতাকে যুদ্ধের জন্য দায়ী করল থাইল্যান্ড (Thailand)। যদিও যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরে কম্বোডিয়ার তরফ থেকে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। তবে কম্বোডিয়ার (Cambodia) তরফ থেকে যুদ্ধবিরতি (ceasefire) কঠোরভাবে মেনে চলা হচ্ছে, জানানো হয়।

প্রায় পাঁচদিন থাইল্য়ান্ড ও তার প্রতিবেশী দেশ কম্বোডিয়া একে অপরের উপর মিসাইল, গ্রেনেড হামলা জারি রেখেছিল। থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের দাবি, কম্বোডিয়া তাদের দেশের স্কুল, পেট্রোল পাম্প, ধর্মীয় স্থানের পাশাপাশি হামলা চালিয়েছে কমপক্ষে ১৯ টি হাসপাতালে। সব রকম যুদ্ধনীতি ভেঙেছে কম্বোডিয়া, দাবি থাইল্য়ান্ডের। যার ফলে মাত্র পাঁচ দিনে মৃত্যু হয়েছে ১৪ থাই (Thai) নাগরিকের যার মধ্যে একটি ৮ বছরের শিশু রয়েছে। সোমবার মালয়েশিয়ার (Malaysia) মধ্যস্থতায় সংঘর্ষ বিরতি (ceasefire) চুক্তি মেনে নেয় দুই দেশ।

প্রাথমিকভাবে দুই দেশের মধ্যবর্তী এমারেল্ড ট্রাইঅ্য়াঙ্গেল (Emarald Trianlge) দখল নিয়ে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। রাজতন্ত্রের সময়ে কম্বোডিয়া ফরাসীদের কলোনি হয়ে যাওয়ার পর থেকেই দ্বন্দ্বের শুরু। অন্যদিকে দখলদারি প্রতিষ্ঠায় সেনা ক্যাম্প ও বিমান বাহিনী দিয়ে নজরদারি চালায় থাইল্য়ান্ড। থাইল্যান্ডের দাবি, কম্বোডিয়ার নেতা হুন সেন-এর আমলে কম্বোজদের মধ্যে অতিরিক্ত দেশাত্মবোধ জাগিয়ে তুলতে বিনা প্ররোচনায় যুদ্ধের পথে যায় কম্বোডিয়া। নিজের ও নিজের ছেলের জনপ্রিয়তা বাড়াতে এই পথ নেন হুন, দাবি থাইল্যান্ডের।

আরও পড়ুন: ম্যানহাটনে বন্দুকবাজের হামলা! মৃত ৫, চিকিৎসাধীন একাধিক

তবে যুদ্ধ বিরতিতে দুই দেশই যে শান্তিতে ফিরতে চাইছে প্রমাণিত দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের বার্তায়। কম্বোজ নাগরিকদের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী একবারও যুদ্ধের পথে যায়নি বলে দাবি কম্বোডিয়ার। তবে কিছু নিয়ম না মানা সেনার কারণে বিক্ষিপ্ত হামলা হয়েছে বলা দাবি কম্বোডিয়ার প্রশাসনের। উল্টোদিকে থাইল্যান্ডের তরফ থেকে জানানো হয়, থাই (Thai) নাগরিকদের দাবি মেনেই সংঘর্ষ বিরতিতে সম্মত হয়েছে থাইল্যান্ড।

–

–

–

–

–

–
–
–
–