বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পকসো (POCSO) মামলায় বিচারাধীন এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। বুধবার সকালে সংশোধনাগারের শৌচালয়ের জানলার রড থেকে দেহ ঝুলতে দেখা যায় তাঁকে। মৃতের পরিবার এই মৃত্যুকে ‘পরিকল্পিত খুন’ বলে অভিযোগ তুলেছে।
মৃত যুবকের নাম শুভব্রত দত্ত (৩২)। বাড়ি বীরভূম জেলার সাঁইথিয়ায় হলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বর্ধমান শহরের পাড়াপুকুর এলাকায় থাকতেন। স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারে অঙ্কের শিক্ষক ছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের অক্টোবর মাসে শুভব্রতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরই এক প্রাক্তন নাবালিকা ছাত্রী। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পকসো আইনে মামলা চলছিল এবং সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে পৌঁছেছিল বিচার। আগামী ৬ ও ৭ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য ছিল।

বুধবার সকালেই সংশোধনাগারের শৌচালয়ে তাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান কারারক্ষীরা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় সুরতহাল।

তবে মৃতের মামা সরাসরি খুনের অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, “ভাগ্নের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা। আদালতে নির্দোষ প্রমাণ হতো, তাই ওকে খুন করা হয়েছে। যে ব্যক্তি আত্মহত্যা করবে, সে মুখে কালো কাপড় ঢোকাবে কেন? এটা স্পষ্টতই পরিকল্পিত হত্যা।” তিনি আরও বলেন, “পা মাটি ছুঁয়েছিল। গলায় আঘাতের দাগ রয়েছে, কিন্তু জিভ বেরিয়ে যাওয়া বা চোখ বড়ো হওয়ার মতো কোনও লক্ষণ নেই, যা সাধারণত আত্মহত্যায় দেখা যায়।” শুভব্রতের মৃত্যুতে তাঁর ছাত্রছাত্রী ও সহকর্মীরাও বিস্মিত ও মর্মাহত। অনেকেই তাঁকে নির্দোষ বলে দাবি করেছ। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।

–

–

–

–

–
–

–

–
–
–
–
–