সম্প্রতি একাধিক জাতীয় মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক থেকে স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের নাম জড়িয়েছে দুর্নীতিতে। কোথাও বেআইনি হাসপাতালের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়া, কোথাও বেআইনি নিয়োগে অভিযুক্ত হয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী থেকে চিকিৎসকরা। রাজ্যের একমাত্র এইমস-এর সমাবর্তনে তাই চিকিৎসকদের নিজেদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক কর্তব্য মনে করিয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu)।

কল্যাণী এইমস-এর (Kalyani AIIMS) প্রথম সমাবর্তন বুধবার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পড়ুয়াদের কর্তব্য স্মরণ করিয়ে দিতে গিয়ে বিধানচন্দ্র রায়ের কথা মনে করিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, এই বিকাশের পুণ্যভূমিতে মহান রাষ্ট্র নির্মাতা বিধানচন্দ্র রায় ছিলেন, যিনি একজন বড় চিকিৎসকও ছিলেন। তাঁর অসামান্য কর্মের জন্য তাঁকে ভারতরত্ন দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নিজের দীর্ঘ কর্মজীবনের সময়েও তিনি বিনা ব্যয়ে রোগীর সেবা করেছেন।

উদাহরণ দিয়ে চিকিৎসকদের নিজেদের কর্তব্য মনে করিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, চিকিৎসক যখন কোনও পরামর্শ দেন তখন তার প্রভাব মানুষের উপর অনেক বেশি পড়ে। চিকিৎসক যখন নিজেই কোনও আদর্শ তৈরি করেন, তখন তার প্রভাবও অনেক বেশি পড়ে। নিজেদের সামাজিক দায়িত্বের প্রতি সচতেন চিকিৎসকরা দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন।

কলকাতায় আর জি করের ঘটনার পরে চিকিৎসকদের কাজের পরিবেশ তৈরির উপর গুরুত্ব দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের সময়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা শুরু করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে কাজের পরিবেশ তৈরিতে যে চিকিৎসকদেরও ভূমিকা রয়েছে, তা স্মরণ করিয়ে রাষ্ট্রপতি (President Draupadi Murmu) বলেন, কম ঘুম ও দীর্ঘ সময় কাজ করে যাওয়া চিকিৎসকদের কর্মক্ষমতা ও দক্ষতার উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এই পরিস্থিতিতে না চিকিৎসকের ভালো হয়, না তার রোগীর উপকার।

আরও পড়ুন: ‘বন্ধু’ ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক! রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বের মাশুল চাপালো আমেরিকা

কল্যাণী এইমস-এর পাশাপাশি বুধবার রাষ্ট্রপতি দক্ষিণেশ্বর মন্দিরেও যান। ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের নগরপাল মুরলীধর শর্মা, দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের কার্যনির্বাহী অছি কুশল চৌধুরী, রাজ্য সরকারের তরফে মন্ত্রী অরূপ রায় রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসও। মন্দির চত্বরে পাতা লাল কার্পেট দিয়ে হেঁটে ভবতারিণী মন্দিরের পূর্ব দিকের গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করেন রাষ্ট্রপতি। সেখানে পুজো দিয়ে রাজভবনে ফিরে যান তিনি। বৃহস্পতিবারও তাঁর একটি বৈঠকে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

–

–

–

–
–
–
–
–