বর্ষা ও নিম্নচাপের জোড়া আঘাতে জলমগ্ন ঘাটালের একাধিক এলাকা। প্লাবিত হয়েছে বহু গ্রাম। ঠিক এমন এক পরিস্থিতিতে বুধবার পরিদর্শনে যান ঘাটালের সাংসদ দেব। মহকুমা শাসকের দফতরে জেলা শাসক, পুলিশ সুপার, স্বাস্থ্যসচিব সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে দেব জানালেন, বহু প্রতীক্ষিত ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ ধাপে ধাপে এগোচ্ছে।

প্রশাসনিক বৈঠক-শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ দেব বলেন, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের সময় আমরা কথা দিয়েছিলাম ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করব। ইতিমধ্যেই ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে নতুন করে ডিজাইন তৈরি হয়েছে কাজ ও প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। দু-মাসের মধ্যে জমি নেওয়ার কাজ শেষ হয়ে বাকি পদ্ধতিও শুরু হবে। মানুষ দীর্ঘ এক মাসের উপর জলের মধ্যে রয়েছেন এটা খুবই কষ্টকর। মূলত ঘাটালে সেপ্টেম্বর মাসে বেশি বন্যা হয়। তবে এ বছর অনেক আগে থেকেই বন্যা শুরু হয়েছে। যার ফলে ঘাটালের মানুষ চরম সমস্যায় রয়েছেন। ইতিমধ্যেই ৬০%-এর উপর বন্যা হয়েছে। পাশাপাশি ডিভিসি বারবার জল ছাড়ছে।

এদিন সাংসদ তাঁর মধ্যাহ্নভোজন সারেন দলীয় কার্যালয়ে। এরপর ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ে গভর্নিং বডির বৈঠকে যোগ দেন। বিকেলে যান বীরসিংহ গ্রামে বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে। শেষে শ্যামসুন্দরপুরে ত্রাণ বিলি করেন সাংসদ।

প্রসঙ্গত, শীলাবতী, কংসাবতী এবং দ্বারকেশ্বর নদীর শাখা ঝুমি নদীর তীরে অবস্থিত ঘাটাল এলাকায় প্রতিবছরই বন্যা নতুন করে বিপর্যয় ডেকে আনে। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের যুগে জমিদাররা সার্কিট বাঁধ নির্মাণ করে নিজেদের ফসলের জমি রক্ষা করতেন। সেই জমিদারি বাঁধগুলি আজ ভগ্নপ্রায়, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভেঙে পড়ছে বছরের পর বছর। তার উপর নদীতে পলি জমে জলধারণ ক্ষমতা ক্রমশ কমে যাওয়ায় বাড়ছে বন্যার প্রকোপ। দু’দশক ধরে থমকে থাকা ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান অবশেষে বাস্তবের রূপ নিচ্ছে। প্রকল্প শেষ হলে ঘাটালের দীর্ঘদিনের প্লাবন-যন্ত্রণা থেকে মুক্তির স্বপ্ন সত্যি হতে পারে বলেই আশাবাদী ঘাটালবাসী।

আরও পড়ুন – সবথেকে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! অনুপ্রবেশ ইস্যুতে অমিত শাহর ইস্তফার দাবিতে হুঙ্কার অভিষেকের

_

_

_

_

_

_
_
_
_
_