হুগলি জেলার কোন্নগরের (Konnagar) কানাইপুরে তৃণমূল নেতা (TMC leader) খুনের ঘটনার পর পেরিয়ে গেছে প্রায় আঠারো ঘণ্টার বেশি। এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দু’জন দুষ্কৃতী এই ঘটনায় জড়িত। রীতিমতো আগে থেকে পরিকল্পনা করেই পিন্টু চক্রবর্তীকে (Pintu Chakraborty) খুন করা হয়েছে বলে অনুমান। দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল লাগোয়া দিল্লি রোড দিয়ে পালিয়ে গেছে কিনা তাও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিশ (Kanaipur Phanri)।

কানাইপুর অটোস্ট্যান্ডের কাছে পিন্টু চক্রবর্তী ওরফে মুন্নার গ্যাসের গোডাউন। অন্যান্য দিনের মতো বুধবার সন্ধ্যাবেলাতেও সেখান থেকে বেরিয়ে বাইকে চেপে বসেন। ঠিক সেই সময় দুষ্কৃতীরা পিছনদিক থেকে প্রথমে তাঁর ঘাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এরপর ওই একই অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কোপ মেরে কেটে ফেলা হয়। প্রথমে কানাইপুর হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে কলকাতায় আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া। পুলিশ বলছে, তৃণমূল নেতার গ্যাসের গোডাউন থেকে সোজা রাস্তাটি দিল্লি রোডের সঙ্গে সংযুক্ত। তাই খুনের পর পালানোর জন্য সম্ভবত এই রাস্তায় ব্যবহার করেছেন দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়রা বলছেন, পিন্টু সবসময় নিজের পরিবার আর কাজ নিয়ে থাকতেন। কানাইপুরে বিগত কয়েক বছরে কোনও বড় অশান্তির ঘটনাও ঘটেনি। তা সত্ত্বেও কেন এভাবে তৃণমূল নেতাকে খুন করা হল তা নিয়ে যথেষ্ট চঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এলাকার শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) এই ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছেন।

–

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–
–