দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র তিন বছরের মাথায় দেশের উপরাষ্ট্রপতি (Vice-President) পদ থেকে আচমকা পদত্যাগ করেন জগদীপ ধনকড় (Jagdip Dhankar)। কেন এই সিদ্ধান্ত তা নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যেই শুক্রবার উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচন। ৯ অগাস্ট থেকে শুরু হবে মনোনয়ন শুরু হবে। চলবে ২১ অগাস্ট পর্যন্ত। নির্বাচনের দিনেই ফল ঘোষণা বলে আশা।

একনজরে ১৭তম উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ

- বিজ্ঞপ্তি জারি- ৭ অগাস্ট
- মনোনয়ন জমা- ৯ থেকে ২১ অগাস্ট
- মনোনয়নপত্র যাচাই- ২২ অগাস্ট
- প্রার্থী প্রত্যাহারের শেষ তারিখ- ২৫ অগাস্ট
- ভোটগ্রহণ- ৯ সেপ্টেম্বর
- ভোটদানের সময়- সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা
- ভোট গণনা- ৯ সেপ্টেম্বর (বিকেল থেকে)
২১ জুলাই রাতে আচমকা উপরাষ্ট্রপতি (Vice-President) পদ থেকে ইস্তফা দেন জগদীপ ধনকড়। স্বাস্থ্যগত কারণে ইস্তাফা বলে জানান তিনি। লেখেন, ”স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে, আমি সংবিধানের ৬৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে অবিলম্বে কার্যকরভাবে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করছি।”

যদিও এই কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দেয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, উপরাষ্ট্রপতির স্বাস্থ্য তো ভালই রয়েছে। পাশাপাশি জানান, এই মুহূর্তে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা জরুরি।উপরাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক পদ থেকে ধনকড়ের আচমকা ইস্তফার পিছনে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের চাপ ছিল কি না সেই প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। দেশের ইতিহাসে প্রথমবার কোনও উপরাষ্ট্রপতির ইস্তফা স্বাভাবিক নয় বলে দাবি তাঁদের।

যেহেতু উপরাষ্ট্রপতিই রাজ্যসভার চেয়ামম্যান, সেই কারণে বাদল অধিবেশনে সাময়িকভাবে ওই দায়িত্ব পালন করছেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং।

সংবিধানের ৬৮(২) ধারা অনুযায়ী, পদে থাকা অবস্থায় যদি উপ-রাষ্ট্রপতির মৃত্যু ঘটে, তিনি পদত্যাগ করেন বা অন্য কোনও কারণে শূন্য হয়ে যায়, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করে সেই পদে পূরণ করতে হবে। সেই অনুযায়ী, এদিন নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে ৯ সেপ্টেম্বর হবে নির্বাচনে। অংশ নেবে লোকসভা ও রাজ্যসভার মোট ৭৮৮ জন সদস্য। এই নির্বাচন হবে একক স্থানান্তরযোগ্য ভোটের মাধ্যমে গোপন ব্যালটে।
আরও খবর: উপাচার্য নিয়োগ মামলা: সোনালিকে রবীন্দ্র ভারতীর উপাচার্য নিয়োগ করতে আনন্দ বোসকে সুপ্রিম নির্দেশ

–

–

–

–
–
–
–
–