অসম সরকারের এনআরসি সংক্রান্ত নোটিশ এবার এসে পৌঁছল কোচবিহারের তুফানগঞ্জ মহকুমার দক্ষিণ রামপুর গ্রামের বাসিন্দা দীপঙ্কর সরকারের ঠিকানায়। এর আগে দিনহাটার উত্তমকুমার ব্রজবাসী এবং তুফানগঞ্জের মোমিনা বিবির কাছেও এই ধরনের নোটিশ এসেছে। একের পর এক এমন নোটিশে জেলাজুড়ে ছড়াচ্ছে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা।
দীপঙ্করের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দুই-তিন আগে জীবিকার খোঁজে অসম গিয়েছিলেন তিনি। কিছুদিন কাজ করার পর ফিরে আসেন নিজের গ্রামে এবং কৃষিকাজ শুরু করেন। কয়েক দিন আগে অসম সরকারের তরফে একটি নোটিশ পান তিনি, যেখানে তাঁর নাগরিকত্ব সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উত্তর চাওয়া হয়েছে। নোটিশ পেয়ে আতঙ্কে দীপঙ্কর প্রথমে কাউকে কিছু জানাননি। বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানাজানি হতেই স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হন তিনি। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে জেলা জুড়ে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, শুক্রবার দীপঙ্করের বাড়িতে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক এবং অন্যান্য নেতারা।
এদিকে একই ধরনের নোটিশ পেয়েছেন তুফানগঞ্জের শালবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা মোমিনা বিবিও। তিনি জানান, প্রায় ৪০ বছর আগে অসমের ধুবড়ি জেলায় তাঁর বিয়ে হয়েছিল। পরে স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে তিনি কোচবিহারে ফিরে আসেন এবং নতুনভাবে সংসার শুরু করেন। তাঁর দুই ছেলে ও এক পুত্রবধূ রয়েছে। এর আগে দিনহাটার বাসিন্দা উত্তমকুমার ব্রজবাসীর কাছেও এমন নোটিশ এসে পৌঁছেছিল, যার জেরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। এখন প্রশ্ন উঠছে—যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করছেন, যাঁদের জীবনের শিকড় এই মাটিতেই, তাঁদেরই কীভাবে অসমের নাগরিক তালিকার আওতায় এনে নোটিশ পাঠানো হচ্ছে?
আরও পড়ুন- বাঙালিদের উপর অত্যাচার চলবে না! সাফ বার্তা অমর্ত্য সেনের
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_