সাংসদদের কণ্ঠরোধে কেন্দ্রের মোদি সরকারের শাম-দাম-দন্ড-ভেদ অস্ত্র প্রয়োগ শুরু স্বৈরাচারী মোদি সরকারের। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিতে নেওয়া নীতি দেশের মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য সংসদে জোর করে পাশ করাতো নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মন্ত্রিসভা। বিরোধী সাংসদরা না মানলে তাঁদের বের করে দেওয়া হয়েছে সংসদের উভয় কক্ষ থেকে। তাতেও কাজ না হওয়ায় এবার মার্শাল-কমান্ডো (marshal commando) শক্তি দিয়ে প্রতিবাদী সাংসদদের মুখ বন্ধ করালো নির্লজ্জ মোদি সরকার।
রাজ্যসভায় এসআইআর (SIR) নিয়ে আলোচনার দাবিতে সোচ্চার বিরোধীদের কন্ঠরোধ করার জন্য সভার ওয়েলে নামানো হল মার্শালের বেশধারী কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআইএসএফ (CISF) ‘কমান্ডো’দের৷ স্বাধীন ভারত এর আগে এমন কোনও ঘটনার সাক্ষী হয়নি, যা ঘটেছে শুক্রবার৷ তারপরেও দমানো যায়নি তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সাংসদদের৷ তাদের সঙ্গে ছিলেন ডিএমকের সাংসদ তিরুচি শিবা এবং আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং৷ মার্শালের বেশ ধারী সিআইএসএফ-র (CISF) কমান্ডোদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির পরেও দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়ানের (Derek O’Brien) নেতৃত্বে রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে সরকার বিরোধী স্লোগান দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা, সাফ দাবি জানিয়েছেন শেষ রক্ত বিন্দু পর্যন্ত তাঁরা লড়াই করবেন, অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী সরকারের হাতে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিতে দেবেন না৷
কার্যত নজিরবিহীন এই ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে গোটা বিরোধী শিবির৷ এই ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবন্সকে চিঠি লিখেছেন রাজ্যসভার বিরোধী দলের নেতা, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)৷ গোটা ঘটনাকে হাতিয়ার করে সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে তোপ দেগেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন৷ তাঁর দাবি, এর আগে এমন ঘটনা দেখিনি৷ এত ভয় পাচ্ছে সরকার এসআইআর – ভোট চুরি নিয়ে সংসদে আলোচনা করতে! মোদী-শাহ, ইন্ডিয়া জোট শেষ পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে লড়াই করবে৷ সোমবার(সংসদে) দেখা হবে৷
নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের কণ্ঠরোধ করতে আগামী দিনে মোদি সরকার যে সংসদেও সেনা নামাতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন সাংসদ সাগরিকা ঘোষ (Sagarika Ghose)। প্রশ্ন তোলেন, সংসদকে এই ভাবে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়ার কোনও অধিকার নেই মোদি সরকারের৷ এদিনের ঘটনা লজ্জাজনক, দুর্ভাগ্যজনক৷ এরপরে বিরোধীদের কন্ঠরোধ করার জন্য কি সেনা ডাকবে সরকার?
আরও পড়ুন: বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা: আলোচনা হবে না দাবি রিজিজুর, পাল্টা চিঠি বিরোধীদের
এই ঘটনা প্রসঙ্গে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে বর্ষীয়ান কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh) বলেন, রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের হঠাত্ এবং অভূতপূর্ব ইস্তফার পরে আমরা এখন দেখছি সংসদের উচ্চকক্ষের দখল নিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআইএসএফ (CISF)৷ আগামী সংসদের অধিবেশনে এই ঘটনার জের জিইয়ে থাকবে এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।