Thursday, August 21, 2025

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোকে (Durga Puja) কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিপুল অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ চলছে। তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কলকাতা-সহ রাজ্যের দুর্গাপুজো কমিটিগুলোকে আর্থিক অনুদান দেওয়া শুরু করেন। এর ফলে উৎসাহিত হচ্ছে পুজো কমিটিগুলি। পুজোয় বাড়ছে বিনিয়োগ। ডেকরেটর থেকে আলোক শিল্পী, প্রতিমা শিল্পী থেকে পরিবহণ ব্যবসায়ী, রেস্তোরাঁ থেকে হোটেল মালিক, লাভবান সবাই। সবমিলিয়ে পুজোকে (Durga Puja) কেন্দ্র করে রাজ্যে এক সমান্তরাল অর্থনীতির (parallel economy) জন্ম হয়েছে তৃণমূল সরকারের আমলে।

পুজো অর্থনীতির অঙ্ক এখন কয়েক হাজার কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। অন্য সব শিল্পের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে পর্যটন শিল্প (tourism industry)। পুজোর সময় বাঙালিদের মধ্যে ভিনরাজ্যে বা বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা অনেক দিনের। সেই প্রবণতার পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও বাড়ছে ভিড়। পুজোকে কেন্দ্র করে এই প্রবণতা আগে ছিল না। এই সরকারের আমলে রাস্তা-ঘাট, জল-আলো, পরিকাঠামো, নতুন নতুন হোম স্টে গড়ে উঠেছে। সঙ্গে বেড়েছে প্রচার। যা পর্যটকদের টেনে আনছে বাংলায়। বাঙালিদের পাশাপাশি তাই ভিনরাজ্য এবং বিদেশ থেকেও পর্যটকরা পুজোর আকর্ষণে ছুটে আসছেন পশ্চিমবঙ্গে। মাঝে কোভিডের ধাক্কায় কিছুটা বেসামাল হয়েছিল পর্যটন শিল্প। কিন্তু রাজ্য সরকারের (Govt of WB) সার্বিক সহযোগিতায় ফের তা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সেই কথাই বলছিলেন স্টার ট্রাভেলের কর্ণধার অলোক দত্ত। তাঁর কথায়, পুজোর সময় উত্তরবঙ্গের আকর্ষণ বরাবরই বেশি। ফলে বুকিংও অনেক বেশি। বাদ যায় না জেলার অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোও। তবে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে দিঘায় জগন্নাথধাম গড়ে ওঠা বাংলার পর্যটনে এক মাইলস্টোন বলে মানছেন তিনি। বলছেন, দিঘার কারণে পর্যটকদের কাছে বাংলার আকর্ষণ আরও বেড়েছে। বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পর্যটকদের মধ্যে। গত কয়েক মাসে ওই অংশের বহু পর্যটক সরাসরি দিঘায় আসছেন। জগন্নাথধাম দেখে তাঁরা পুরী যাচ্ছেন। এই প্রবণতা একেবারেই নতুন। পুজোর সময় এই ট্যুরের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। যা হাসি ফুটিয়েছে তাঁদের মতো মাঝারি মানের ট্রাভেল সংস্থার। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে হোম স্টে-র সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এখানে খরচ কম হওয়ায় পর্যটকরাও ভিড় জমাচ্ছেন। তবে জনপ্রিয় স্পটগুলির পাশাপাশি লেপচাখা, সিটং, চুমাঙ্গের মতো নতুন ও আনকোরা পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ভিড় যেভাবে বাড়ছে তাতে খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরা। অলোক দত্তের মতো একই সুর নিড-এ হলিডে-র কর্ণধার শান্তনু ভট্টাচার্য, সৌমিক দাসের গলাতেও। তাই তাঁরাও তাকিয়ে রয়েছেন পুজোর দিনগুলির দিকে।

Related articles

যোগীরাজ্যের পাঠ্যপুস্তকে বাদ কেন রবীন্দ্রনাথকে? সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র

উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে? তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নে স্পষ্টতই...

প্রয়াত সিপিএম নেতা-প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া

প্রয়াত সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া। বুধবার এনআরএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।...

উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক মেলেনি! শীর্ষ আদালতে শান্তা দত্ত 

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্বে ডাক পাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত। যোগ্য হয়েও তাঁকে সুযোগ দেওয়া...

১৫ দিনেই রেকর্ড সাফল্য! রাজ্যে সাড়া ফেলল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি

মাত্র পনেরো দিনেই নজির গড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’। রাজ্যের মানুষের হাতে উন্নয়নের...
Exit mobile version