রসায়নবিদ, দেশপ্রেমিক ও বাংলায় শিল্প স্থাপনের অগ্রদূত আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের জন্মদিন ২ আগস্ট। আর এই দিনেই ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করেছিল ‘নবজাগরণ’। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ২ আগস্ট, শনিবার, কলকাতার শিশির মঞ্চে আয়োজিত হল বিশিষ্ট সাংবাদিক ও আজকাল পত্রিকার সম্পাদক অশোক দাশগুপ্ত প্রতিষ্ঠিত ‘নবজাগরণ’-এর ২৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস।

এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, আজকাল পত্রিকার কর্ণধার সত্যম রায়চৌধুরী, সাহিত্যপ্রেমী ও শিল্পদ্যোগী সমর নাগ, ভারতের প্রাক্তন মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ঝুলন গোস্বামী, জনপ্রিয় লেখক প্রচেত গুপ্ত, খ্যাতনামা অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরী, প্রাক্তন ক্রিকেটার অরুণলাল-সহ আরও অনেক বিশিষ্টজন।

“নবজাগরণ”-এর ২৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে বলতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ১৯৯৯ সালে আজকাল পত্রিকার সম্পাদক শ্রী অশোক দাশগুপ্তের হাত ধরেই এবং তাঁর উদ্যোগেই এই সংস্থা গঠিত হয়েছিল এবং বাংলা ও বাঙালির এক ধরনের পুনঃজাগরণ সেটা অশোক দাশগুপ্তের ভাবনা ও মস্তিস্কপ্রসূত। লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিও এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাংলা ও বাঙালিকে কিভাবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিষ্ঠা দেওয়া যায় অশোক দাশগুপ্ত এইরকম কল্পনার কথা ভেবেছিলেন। একই সঙ্গে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “তিনি শুধুই বিজ্ঞানী নন, বাংলার নাট্যজগতেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।

বর্তমানে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে যে ভাবে অবদমনের চেষ্টা চলছে, তার প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইকে স্মরণ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই পরিস্থিতিতে নবজাগরণের মতো সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অশোক দাশগুপ্ত সম্পর্কে বলতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অশোক দাশগুপ্ত আমার কাছে লেজেন্ড। আমি ক্লাস ফোর থেকে তাঁর লেখা পড়েছি। একের পর এক দারুণ লেখা আমি পড়েছি। বর্তমানে সত্যম রায়চৌধুরী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এই সংস্থাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। পাশাপাশি বিশিষ্ট লেখক প্রচেত গুপ্ত, অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরী, প্রাক্তন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক শ্রীমতী ঝুলন গোস্বামীর প্রশংসা করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

এদিনের অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী শ্রী ইন্দ্রনীল সেন। “নবজাগরণ”-এর ২৬ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে অনুষ্ঠানে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, ঝুলন গোস্বামী, লেখক প্রচেত গুপ্ত ও অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরীকে। তাঁদের অবদানকে সম্মান জানানো হয় যথাক্রমে শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে। ২৬ বছরের পথ চলায় ‘নবজাগরণ’ যে ভাবে বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, তা অনুষ্ঠানে বারবার উঠে এসেছে বক্তাদের কথায়। ভবিষ্যতেও এই ধারা বজায় রেখে নব প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে ‘নবজাগরণ’, এমনই প্রত্যাশা সকলের।

আরও পড়ুন- সিইও দফতরের ‘ভবন পরিবর্তন’ নিয়ে ফের রাজ্যকে চিঠি কমিশনের

_

_

_

_
_
_
_
_
_