ভারতের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হচ্ছে হোয়াইট হাউস থেকে! ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ঘোষণাও করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সংখ্যাটা পেরিয়েছে ৩০ বার। এবার ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক নিয়ে ঘোষকের ভূমিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ক্রমাগত ভারত সরকারের নীরবতায় যে ভারতের উপর কর্তৃত্ব করতে ছাড়ছেন না মার্কিন রাষ্ট্রপতি, আরও একবার তা স্পষ্ট হয়ে গেল। ট্রাম্প দাবি করলেন, তাঁর হুমকির পরে ভারত যে রাশিয়ার (Russia) থেকে তেল কেনা বন্ধ রেখেছে সেটা একটি ভালো বিষয়। এই প্রসঙ্গে এখনও কোনও স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেনি ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA)।
ভারতের শুল্ক সম্পর্কে ঘোষণা করার সময়ই ভারতের উপর অতিরিক্ত জরিমানা চাপানোর ঘোষণা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার কারণ হিসাবে জানানো হয়েছিল, ভারত রাশিয়ার থেকে সামরিক সামগ্রী কিনছে। রাশিয়ার থেকে সবথেকে বেশি শক্তি সম্পদ কেনে ভারত। তাঁর যুক্তি ছিল, গোটা বিশ্ব রাশিয়াকে ইউক্রেনের (Russia-Ukrain) সঙ্গে যুদ্ধ থামানোর বার্তা দিচ্ছে। সেই সময় ভারতেরও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত। এমনকি ভারতের এই বিষয়গুলি ঠিক নয়, এমন দাবিও করেন তিনি।
এরপরই ভারতের জন্য রাশিয়ার জ্বালানি তেল (oil) পরিবহনকারী দুটি মার্কিন পতাকাবাহী জাহাজকে আটকে দেয় আমেরিকা। যদিও রাশিয়া থেকে জ্বালানি পরিবহন বা কেনার বিষয়ে কোনও মন্তব্য এড়িয়ে গিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। আমেরিকার হুঁশিয়ারির পরে ভারত কোনও প্রতিক্রিয়া আমেরিকাকে আদৌ দেবে কি না, তা নিয়েও কোনও বিবৃতি দেয়নি বিদেশ মন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে শুধু জানানো হয়েছে, রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ ও সময়ের সঙ্গে পরীক্ষিত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক অন্যদেশের মনোভাবের মাধ্যমে দেখতে পাওয়া সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: আজবকাণ্ড! বিহারে ভোটার তালিকায় নাম নেই প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীর: নথি দেখিয়ে দাবি
আর ভারতের তরফ থেকে আমেরিকার বক্তব্যের কোনও জবাব না দেওয়ায় ফের একবার ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে মাথা গলানো শুরু ডোনাল্ড ট্রাম্পের। রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে শুক্রবার ট্রাম্প (Donald Trump) দাবি করেন, আমি বুঝতে পেরেছি ভারত আর রাশিয়ার (Russia) থেকে তেল (oil) কিনছে না। এমনটাই আমি শুনেছি। জানি না সেটা সত্যি না মিথ্যে। এটা খুবই ভালো পদক্ষেপ। দেখা যাক পরবর্তীতে কী হয়। অর্থাৎ ভারতের উপর জরিমানা চাপানোর যে ঘোষণা ট্রাম্প করেছিলেন, সেই বিষয়েও এবার হয়তো ভাবনাচিন্তা করবে আমেরিকা। তবে সবটাই ভারতের নীরবতার বিনিময়ে, এটাও স্পষ্ট।
–
–
–
–
–
–
–
–
–