দেখতে দেখতে পেরিয়েছে তিরিশটা বছর। ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর কলেজ গার্ল এখন মধ্যবয়সের সংসারী মহিলা। বিয়ের আগে হোক বা পরে স্টারডম যেন জুড়েই রয়েছে রানি মুখোপাধ্যায়ের (Rani Mukerji) নামের সঙ্গে। আর এবার বঙ্গতনয়ার সঙ্গে জুড়ে গেল জাতীয় পুরস্কার জয়ীর (National Award Winner) তকমাও। খুশির খবর আসতেই ঈশ্বরের দরবারে হাজির আদিত্য ঘরণী। হালকা নীল রঙের সালোয়ার স্যুট আর লাল রঙের শাল জড়িয়ে কপালে মঙ্গল তিলক এঁকে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে (Siddhivinayak Temple) পুজো দিলেন রানি। মন্দিরের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে অভিনেত্রীর ছবি শেয়ার করা হয়েছে।

চড়ছে উন্মাদনার পারদ, একমঞ্চে একসঙ্গে ধরা দেবেন তো দেব-শুভশ্রী!

গত শুক্রবার ৭১ তম জাতীয় পুরস্কার (71st National Award) ঘোষণা হতেই চোপড়া পরিবারের বৌমার মুখে চওড়া হাসি। ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সাস নরওয়ে’ ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর মুকুট রানির মাথায়। খবর পাওয়া মাত্রই সব মা’দের এই পুরস্কার উৎসর্গ করেছিলেন অভিনেত্রী। বাস্তব কাহিনী অবলম্বনে সিনেমার পর্দায় দীর্ঘ লড়াইয়ের পর নিজের সন্তানদের কাছে পেতে সাগরিকা ভট্টাচার্যের (বর্তমানে সাগরিকা চক্রবর্তী) চরিত্রে দেবিকার লড়াই এবার স্বীকৃত জাতীয় স্তরে। তবে পুরস্কার পেতে কি একটু বেশি সময় লেগে গেল না?

সঞ্জয় লীলা বনশালী পরিচালিত ‘ব্ল্যাক’ (Black) সিনেমায় যখন নিজের অসামান্য অভিনয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন বাঙালি কন্যা, অনুরাগীরা তখনই প্রিয় নায়িকার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্তির আশা করেছিলেন। কিন্তু তা হয়নি। তাতে অবশ্য অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারে যে খুব বড় ক্ষতি হয়ে গেছে এমনটা নয় বরং তিনি নিজের বর্তমান লাইফস্টাইল নিয়ে যথেষ্ট খুশি। একটা সময় চুটিয়ে সিনেমা করেছেন, তারপর সংসারে মন দিয়েছেন। সন্তান বড় করার পাশাপাশি ফের ভালো চিত্রনাট্য বেছে কাজ করেছেন। অসীমা ছিব্বার পরিচালনায় ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সাস নরওয়ে’ অন্যরকমের রানি মুখোপাধ্যায়কে (Rani Mukerji) তুলে ধরে দর্শকদের কাছে। বিধাতা বোধহয় এই সিনেমার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। একজন অভিনেত্রী যিনি বাস্তবে মাও বটে, তাঁর সন্তানদের প্রতি ভালবাসা আর মাতৃত্বের জোরে গোটা পৃথিবীর সঙ্গে লড়াই করার মানসিকতাই তো এক মহিলাকে পুরুষতান্ত্রিক সমাজেও দেবতার আসনে বসিয়ে রাখে। তাই সেরকম চরিত্র যে জাতীয় পুরস্কারের মতো সম্মান এনে দিয়েছে তাতে অত্যন্ত খুশি রানি। তিনি বলেন, “৩০ বছরের কেরিয়ারে এটাই আমার প্রথম জাতীয় পুরস্কার। একজন অভিনেত্রী হিসাবে এটাই আমার সবচেয়ে বড় সৌভাগ্য এরকম কিছু ভালো কাজ করতে পেরেছি। এবং সেই কাজের জন্য ভালোবাসা পেয়েছি। এই স্বীকৃতি আমার কাছে শুধু জাতীয় পুরস্কারই নয়। আরও অনেক কিছু। জাতীয় পুরস্কার আমি বিশ্বের প্রত্যেক মাকে উৎসর্গ করলাম। মায়ের নিঃশর্ত ভালোবাসার ঊর্ধ্বে এই বিশ্বে আর কিছু হয় না।” সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে হাসিমুখে হাতজোড় করে বঙ্গতনয়ার ঈশ্বর শরণের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–
–
–