১১ গুণ বেশি জল ছেড়েছে DVC, বাংলাকে ডোবানোর ষড়যন্ত্র! তোপ মুখ্যমন্ত্রীর

Date:

Share post:

রাজ্যকে না জানিয়ে বারবার জল ছাড়ে DVC। ঝাড়খণ্ডকে বাঁচাতে গিয়ে বানভাসি হয় বাংলা। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বিস্ফোরক অভিযগ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়, ২০২৪ সালের তুলনায় এ বছর DVC-র জল ছাড়ার পরিমাণ ১১ গুণ বেড়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় বেড়েছে ৩০ গুণ!! এটি দক্ষিণবঙ্গে বন্যা ঘটানোর জন্য এটি একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা বলে অভিযোগ মমতার।

নিজেরা ড্রেজিং করে না বলে জল ধারণের ক্ষমতা কমে গিয়েছে- অভিযোগ DVC-র বিরুদ্ধে এই অভিযোগ বারবার করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এবার তথ্য দিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন মমতা। সোমবার, নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (X-Handle) তিনি লেখেন,
“DVC-র “বন্যা নিয়ন্ত্রণ” আবারও বাংলাকে ‘ডুবিয়ে’ দিয়েছে। DVC-র এবারের ব্যর্থতা শুধু অন্যান্যবারের থেকে বেশিই নয়, অভূতপূর্ব।
স্পষ্টতই, কেন্দ্রের দ্বারা পরিচালিত এই সংস্থাটি ক্রমশ আরো বেশি বেশি করে বাংলা-বিরোধী হয়ে উঠছে। সারা ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার যে বাংলা-বিরোধী পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে, তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এই পরিস্থিতিকে দেখতে হবে।
২০২৪ সালের তুলনায় এ বছর DVC-র জল ছাড়ার পরিমাণ ১১ গুণ বেড়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় বেড়েছে ৩০ গুণ!! দক্ষিণবঙ্গে বন্যা ঘটানোর জন্য এটি একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা। এটি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, বাংলাকে বিপদে ফেলার জন্য এটা আরো বেশি বেশি করে ঘটাতে থাকা ম্যান-মেড বিপর্যয়।“

এর পরেই তথ্য-পরিসংখ্যা তুলে ধরেন মমতা। লেখেন,
“তথ্যই সব বলে দিচ্ছে:

  • ২০২৪ সালের জুন ও জুলাই মাসে DVC থেকে জল ছাড়া হয়েছে: ৪,৫৩৫ লক্ষ কিউবিক মিটার
  • ২০২৫ সালের জুন ও জুলাই মাসে DVC থেকে জল ছাড়া হয়েছে: ৫০,২৮৭ লক্ষ কিউবিক মিটার

এই বছর এই বিপুল ও নজিরবিহীন পরিমাণ জল ছাড়ার ফলে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা বিধ্বস্ত হয়েছে, বিপুল ফসল নষ্ট হয়েছে, প্রচুর বাঁধ ভেঙেছে, অসংখ্য রাস্তা ভেঙেছে এবং হাজার হাজার মানুষকে ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে – তাদের জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে।“

বাংলার বিরুদ্ধে কেন্দ্রের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে মমতা লেখেন,
“বাংলায় বন্যা ঘটানোর জন্য জল ছাড়ার পরিমাণ যেভাবে ক্রমাগত বাড়ছে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও উদ্বেগজনক। এর মধ্যে আমি স্পষ্টই গভীর ষড়যন্ত্র  দেখতে পাচ্ছি!
অবিলম্বে এসব বন্ধ হওয়া দরকার।“

মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ বলেন, বিভিন্ন বাঁধ থেকে নিয়ন্ত্রিত ভাবে জল ছাড়ার জন্য রাজ্যের তরফে বারবার ডিভিসির কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। এই নিয়ে একাধিকবার চিঠিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি।

আরও খবর: সাবাশ দিদি, পাশে আছি… স্ট্যালিন থেকে গগৈ ধুয়ে দিলেন বিজেপিকে

spot_img

Related articles

উত্তরবঙ্গে হাতির গতিবিধি নজরদারিতে বিশেষ অ্যাপ চালু বন দফতরের 

উত্তরবঙ্গের জঙ্গলাঞ্চলে হাতির অবস্থান ও চলাচল নিয়ে এবার ডিজিটাল উদ্যোগ নিল রাজ্য বন দফতর। কার্শিয়াং বনবিভাগ ও একাধিক...

ঘোষিত বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান ২০২৫: তালিকায় সেরার সেরা থেকে সাবেকি, ভাবনা-সহ ৮ বিভাগ

পঞ্চমীর বিকেলেই ঘোষিত এবছরের বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান (Biswa Bangla Sharod Samman) প্রাপকদের নাম। প্রতিবছর ষষ্ঠীর বোধন বেলায়...

দুর্গাপুজোয় ঘরে ফেরায় অসুর বিমানভাড়া!

দুর্গাপুজো (Durga Pujo) মানেই বাঙালির আবেগ, ঘরে ফেরার টান। আবার অনেকে বাইরে থেকে কলকাতার (Kolkata) দুর্গাপুজো দেখতেও আসেন।...

চিত্রার কী পরিণতি, জানা যাবে খুব শিগ্গির: পুজোর পরেই শেষ ‘কথা’ ধারাবাহিক

দুই নব সদস্যের পরিচয় নিয়ে অনেক টালবাহানার পরে অবশেষে কিছুটা শান্তি ফিরেছে গুহ পরিবারে। কিন্তু শান্তি এই পরিবারে...