বিজেপির তৈরি করা বাংলাদেশি-আতঙ্ক কেড়ে নিল বাংলার নাগরিকের প্রাণ। দেশের লজ্জা। সভ্যতার লজ্জা। দক্ষিণ কলকাতার কুঁদঘাটের আনন্দপল্লির বাসিন্দা দিলীপকুমার সাহা (৬০)। বিজেপির তৈরি করা বাংলাদেশি-আতঙ্কে ভেঙেচুরে খান-খান হয়ে গিয়ে শেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন প্রৌঢ়। রবিবার সন্ধ্যায় প্রয়াত দিলীপের বাড়িতে যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, কেন্দ্র শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে। বাংলার মানুষকে ভাতে মারার, জানে মারার, জল ছেড়ে মারার চেষ্টা করছে। বিজেপিই দিলীপের মনে আতঙ্ক ঢুকিয়ে ছিল। ডিটেনশন ক্যাম্পে যেতে হবে এই আশঙ্কা থেকেই মর্মান্তিক ঘটনার পরিণতি।

রবিবার সকালে দিলীপের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তে পাঠায়। তিনি ভাই-বোনেদের বলতেন, তারা সরকারি চাকরি করেন, তাদের চিন্তা নেই। কিন্তু তাঁর তো সেটাও নেই। কিন্তু তাতেও তিনি আশ্বস্ত হননি। বলতেন, আমাকে যদি বাড়ি ছেড়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকতে হয়, তাহলে বাঁচব না। তারপর থেকেই আতঙ্ক শুরু হয়। শনিবার রাতে স্ত্রীকে অন্য ঘরে শুতে বলে একা শুয়েছিলেন। রবিবার ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে খোলা জানলার ফাঁক দিয়ে দিলীপের ঝুলন্ত দেহ দেখা যায়। বাংলাদেশে জন্ম হলেও ১৯৭২ সালে বাংলায় চলে আসেন দিলীপবাবুরা। বাড়িতে স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ, নাতি রয়েছেন। ভাগ্নেবউ পিঙ্কি সাহা জানিয়েছেন, মামার মত পরিণতি যেন কারও না হয়। অরূপ জানিয়েছেন, পরিবারটির পাশে থাকবে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন – মইদুলের সাহস আছে, পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বললেন ফিরহাদ

_

_

_

_

_

_

_

_
_
_
_
_