এক সময় যে কেশপুরে অত্যাচার চালাতো সিপিআইএম, সেই কেশপুরে (Keshpur) এখন রং বদলে বিজেপি একই অত্যাচার চালানোর চেষ্টা করছে। নির্বাচনের আগে বিজেপির দোসর হয়ে নির্বাচন কমিশন। তাই নিজেদের অধিকার বুঝে নিতে ভোটার তালিকা (voter list) সংশোধনী নিয়ে সতর্ক হওয়ার জন্য কেশপুরের রাস্তায় গাড়ি দাঁড় সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)।

মঙ্গলবার বন্যা কবলিত হুগলি, ঘাটালের একাধিক এলাকা পরিদর্শন করে মেদিনীপুরের দিকে রওনা দেন। তার মাঝেই কেশপুরে বিপুল জনসমাগম হয় মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য। কর্মী সমর্থকদের জন্য কেশপুরের মোড়ে গাড়ি থামিয়ে বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় রোগী নিয়ে একটি অ্যাম্বুল্যান্সও আটকে পড়ে সেখানে। পুলিশ প্রশাসনকে তৎপরতার সঙ্গে সেই অ্যাম্বুল্যান্সকে পথ করে দিতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

সেখানে কেশপুরের পুরোনো স্মৃতি স্মরণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, আমি এই কেশপুরের মাটিতে বহুবার এসেছি। এখানে যা অত্যাচার হত সেই জামসেদ ভবনের নামে। সেইগুলোই এখন বিজেপি হয়েছে। দিনের পর দিন মৃতদেহ নিয়ে বহুবার এসেছি। সেখানেই সিপিআইএম ও বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, সেদিন বলেছিলাম সিপিএমের শেষ পুর এই কেশপুর থেকে হবে। আজ বলে যাচ্ছি বিজেপির শেষ পুর এই কেশপুর থেকে হবে।

সেই সঙ্গে কেশপুরের মানুষকে নিজেদের ভোটাধিকার নিয়ে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) জানান, ভোটার তালিকার (voter list) নামে এনআরসি (NRC) করার প্ল্যান চলছে। বিজেপিকে আমি বিশ্বাস করি না। আপনারা যদি মনে করেন ভোটার তালিকায় নাম আছে, এখন নতুন পরিকল্পনা চলছে যাতে নাম কাটা যায়। কারো নাম বাদ পড়লে ছেড়ে কথা বলব না। প্রত্যেকে যাতে ভোটার থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে।

আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব প্রমাণে নথি নিয়ে বাংলার পঞ্চায়েত প্রধানকে তলব অসমে!

রাজ্য থেকে ভিন রাজ্যে যে পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজে যান তাঁদের মধ্য়ে একটা বড় সংখ্য়ায় মানুষ পাড়ি দেন পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে। সেই সব পরিযায়ী শ্রমিকদের (migrant labours) ভিন রাজ্যে না যাওয়ার অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, যারা বাইরের রাজ্যে কাজ করতে যাচ্ছেন ও অত্য়াচারিত হয়ে ফিরে আসছেন, আমাদের তাদের জন্য একটা পোর্টাল আছে। রাজ্যেই কাজের সুযোগ রয়েছে। আমাদের এখানে কর্মশ্রী আছে। এখানে থাকবেন, ভালো থাকবেন। বাংলাকে ভালবাসুন। বাংলায় থাকুন। মুম্বই, গুরগাঁও গিয়ে বিজেপির হাতে অত্যাচারিত হওয়ার দরকার নেই।

–

–
–

–

–
–
–
–