Monday, August 11, 2025

বাংলা ছাড়া ভারত হয় না: ভাষার অপমানের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী

Date:

বিজেপি (BJP) বলে কি না বাংলা বলে কোনও ভাষাই নেই! শুনে রাখুন, বাংলা ছাড়া ভারতীয় সংস্কৃতি তৈরি হত না। বাংলাই ভারতের সংস্কৃতির পথিকৃৎ। মঙ্গলবার কামারপুকুর মঞ্চ থেকে বিজেপিকে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Benerjee)। বিজেপির বাংলা ও বাঙালি বিদ্বেষ এবং ভাষা সন্ত্রাসের প্রতিবাদে গর্জে উঠে তাঁর হুঁশিয়ারি, আমাদের মাতৃভাষাকে নিয়ে খেলবার চেষ্টা করবেন না, বাংলাভাষাকে অসম্মান করার চেষ্টা করবেন না।

রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের (Ramkrishna Dev) জন্মভিটে কামারপুকুর মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দেন। বলেন, এক ধর্ম আর এক ধর্মকে সহনশীলতায়, আদরে, যত্নে রাখে। বেলুড় মাঠে গিয়ে মুসলিম দরগা দেখে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, বেলুড় মঠে কেন মুসলিম দরগা। তখন মহারাজেরা বলেছিলেন স্বামীজির সময় থেকেই এটা রয়েছে। তাহলে কারা এই সর্বধর্ম সমন্বয় গুঁড়িয়ে দিচ্ছে? আর বলে দিচ্ছে বাংলা বলে কোনও ভাষাই নেই! বাংলা ছাড়া কি সংস্কৃতি হয়। বাংলা ছাড়া ভারত হয় না, বাংলা ছাড়া সংস্কৃতি হয় না। রামকৃষ্ণদেব যে সর্বধর্ম সমন্বয়ের শিক্ষা দিয়ে গিয়েছিলেন, তা পাথেয় করেই আমরা চলি। নতুন করে আমাদের ধর্ম শিখতে হয় না। বিজেপির কাছ থেকে আমরা ধর্ম শিখব না। আমরা যা শিখেছি রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব স্বামী বিবেকানন্দের কাছ থেকে। সেটা একবার ব্রেনে নিয়ে নিয়েছি, তা আর ভাঙা যাবে না।

বিজেপিকে তিনি ফের একবার মনে করিয়ে দেন, ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ‘জনগণমন অধিনায়ক’ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের (Rabindranath Tagore) লেখা, ‘বন্দেমাতরম’ ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রের লেখা, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও রামমোহন রায় সমাজ সংস্কারে নবজাগরণের পথিকৃৎ ছিলেন, নেতাজি দিয়েছিলেন ‘জয় হিন্দ’ মন্ত্র। এঁরা সবাই বাঙালি, বাংলা এদের মাতৃভাষা। আর আপনারা সেই বাংলাভাষাকেই কুৎসা করছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমে কথামৃত, তরুণের স্বপ্ন লেখা হয়েছে বাংলাতেই। পরে অনেক বই ইংরেজিতে ট্রান্সলেশন করা হয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি বিক্রি হয়ে যাচ্ছিল, আমি একদিনের মধ্যে খবর পেয়ে তাদের ট্রাস্টিকে হস্তান্তর করেছিলাম। সিস্টার নিবেদিতার বাড়িও অধিগ্রহণ করে ট্রাস্টিকে দিয়ে দিয়েছি। এঁরা আমাদের প্রাণপুরুষ, এঁরা না থাকলে জগৎ সংসার চলে না। মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, ইতিহাসকে মাথায় রেখে, তাকে সম্মান জানিয়ে তবেই জীবন গড়ুন। স্বামীজি নৈতিক চরিত্র গঠনের কথা বলতেন, এর থেকে বড় কিছু হতে পারে না। এখন ধর্ম, মানবিকতা, সম্প্রীতি, সৌজন্য, ভদ্রতাকে রক্ষা করার পালা। আরও পড়ুন: জয়রামবাটী-কামারপুকুর উন্নয়নে বোর্ড গড়লেন মুখ্যমন্ত্রী, ১০ কোটি টাকা অনুদান ঘোষণা

Related articles

শালবনিতে প্রস্তুত দুই বিদ্যুৎ কেন্দ্র, আসছে আরও দুটি

শালবনিতে প্রস্তুত দুই বিদ্যুৎ কেন্দ্র, আসছে আরও দুটি রাজ্যের বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন মাইলফলক। শালবনিতে (Shalboni) ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন...

সংশোধিত রুলসে সবুজ সংকেত পুরসভার! এবার স্বল্প জমিতেও মিলবে বাড়ি তৈরির অনুমতি

কলকাতা পুরসভা এলাকায় আধকাঠা বা তারও কম জমিতেও বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দিল রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে...

অনুমোদন মন্ত্রিসভায়! দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের আদলে রাজ্যে তৈরি হবে ‘দুর্গাঙ্গন’ 

রাজ্যে তৈরি হতে চলেছে ‘দুর্গাঙ্গন’। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের আদলে নির্মিত হবে এই বিশেষ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়...

ফের বিজেপিশাসিত ওড়িশায় গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরাল কিশোরী!

চলতি মাসে ওড়িশায় (Odisha) গায়ে আগুন লাগানোর ঘটনা মোট চার। যার মধ্যে ৩ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ওডিশার...
Exit mobile version