টানা বৃষ্টি ও প্লাবনে রাজ্যের একাধিক জেলায় ধসে পড়েছে শতাধিক মাটির বাড়ি। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে গৃহহীন বহু পরিবার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকের সঙ্গে জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
নবান্ন সূত্রের খবর, বৈঠকে মুখ্যসচিব স্পষ্ট নির্দেশ দেন, যেসব পরিবার ঘর হারিয়েছেন, তাঁদের ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে দ্রুত অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সেইসঙ্গে জেলা ভূমি ও আবাসন দফতরকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে যাতে এই পরিবারগুলিকে সরকারি সহায়তার আওতায় আনা যায়।
প্রশাসনিক মহলের ব্যাখ্যা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরামবাগ, খানাকুল ও ঘাটাল পরিদর্শনের আগে এই জরুরি বৈঠকে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে খুঁটিনাটি রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের কাছ থেকে। উদ্ধারকাজ ও ত্রাণবন্টনের অগ্রগতি নিয়েও তথ্য তলব করেছে নবান্ন।
বৈঠকে মুখ্যসচিব বলেন, “ত্রাণশিবিরে থাকা প্রতিটি পরিবারকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনার আওতায় আনতে হবে। কোথাও যেন অবহেলা না হয়।” পাশাপাশি, প্লাবিত অঞ্চলে নজরদারি বাড়ানো, খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধের পর্যাপ্ত মজুত রাখা, জলমগ্ন এলাকায় জলবাহিত রোগ ছড়ানো ঠেকাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের সব জেলাশাসক এবং বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিকরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সমস্ত জেলার কাছেই আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে নবান্ন। বন্যার কারণে যেসব ব্লকে রাস্তা কেটে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, সেসব এলাকায় বিকল্প রাস্তা বা সেতু নির্মাণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পিডব্লিউডি এবং সেচ দফতরকে। সেচ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “ভূমি ধস বা নদীবাঁধ ভাঙার সম্ভাব্য এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু হয়েছে। জেলাস্তরে কন্ট্রোল রুম চালু রাখা হয়েছে।” নবান্নের পর্যবেক্ষণ, বহু গৃহহীন পরিবার আপাতত ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন। তাঁদের স্থায়ী পুনর্বাসনের কাজ দ্রুত শুরু করতেই এই প্রশাসনিক তৎপরতা।
আরও পড়ুন – ফকির মোহন কলেজের ছাত্রী আত্মহত্যা মামলায় গ্রেফতার ABVP নেতাসহ দুইজন
_
_
_
_
_
_
_
_
_