“বাঙালিরা শুধু রিল বানাতে বেরোয় না, তাদের মধ্যে আছে অনুসন্ধিৎসু মন। তাই লাদাখে বাঙালি পর্যটকদের জন্য অপেক্ষা করে মানুষ”— কলকাতায় এসে এমনই মন্তব্য করলেন লাদাখের খ্যাতনামা পরিবেশকর্মী ও শিক্ষাবিদ সোনম ওয়াংচুক। তিনি বলেন, “বাঙালি অন্বেষক জাতি। তারা শুধু ঘুরতে যায় না, জানার আগ্রহ নিয়ে যায়। এটা অন্য রাজ্যের অনেক পর্যটকদের মধ্যে দেখা যায় না। সেই কারণেই বাঙালিদের প্রতি লাদাখবাসীদের একটা আলাদা টান রয়েছে।”
তবে শুধু পর্যটন নয়, এদিন শিক্ষার প্রসঙ্গেই মুখর ছিলেন ‘থ্রি ইডিয়টস’-খ্যাত বাস্তবের ফুংসুক ওয়াংরু। তাঁর মতে, আদর্শ বিদ্যালয়ের জন্য দরকার নেই বাহারি স্কুল ইউনিফর্ম বা চকচকে বিল্ডিং। শিক্ষার মূলে থাকা উচিত তিনটি বিষয়—কৌতূহল, সহানুভূতি এবং অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, যদি কৌতূহল থাকে, তুমি নিজেই শিখে নিতে পারবে। ছোটবেলা থেকে চারপাশে যা দেখবে, তা নিয়ে প্রশ্ন করতে হবে। শ্রেণিকক্ষে বারবার প্রশ্ন করতে হবে। হয়তো সহপাঠীরা শুরুতে হাসবে, কিন্তু শেষ হাসি তোমারই হবে।
নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, স্কুলে আমি এত প্রশ্ন করতাম যে সকলে আমায় ‘ইন্সপেক্টর’ বলত। সেই প্রশ্নের উত্তরগুলোই আজ আমাকে তৈরি করেছে। তিনি আরও জানান, শিশুর কৌতূহলকে দমন করা উচিত নয়। ছোট থেকেই বলা হয়, বেশি প্রশ্ন কোরো না। স্কুলে পিন ড্রপ সাইলেন্স চাই। কিন্তু আদর্শ বিদ্যালয়ে কখনও তা হওয়া উচিত নয়। প্রশ্ন করার মানসিকতা বজায় রাখা যে কত কঠিন, তা স্বীকার করে নিয়েও ওয়াংচুক বলেন, যে শিশু জানার আগ্রহ ধরে রাখে, তার মন চিরসবুজ থাকে। মনের মধ্যে যদি জানার তীব্র তাড়না থাকে, তাহলে আশিতেও মন থাকবে আঠারোর মতো তরুণ। কলকাতার ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, নিজেকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলো। সাফল্য তখন নিজেই এসে ধরা দেবে।
আরও পড়ুন- বাংলা ভাষা ‘বাংলাদেশি’! প্রতিবাদ জানিয়ে এবার সরব হলেন সঙ্গীতশিল্পী রুপঙ্কর
_
_
_
_
_
_
_
_
_
–
_