নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) তীব্র আক্রমণ লোকসভার তৃণমূলের (TMC) দলনেতা তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর স্পষ্ট কথা, কমিশন যে কাজ করছে তা এক্তিয়ার বহির্ভূত। বৃহস্পতিবার, দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অভিষেকস্পষ্ট জানান, নির্বাচনের মাস তিনেক আগে কমিশন রাজ্য প্রশাসনগুলিকে নিজেদের হাতে নেয়। কিন্তু বাংলায় নির্বাচনের বাকি প্রায় একবছরের বেশি। এখনও নির্বাচিত সরকার রয়েছে। তাহলে এত তাড়াহুড়ো কেন?

ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তি অনিয়মের অভিযোগে বাংলার চার অফিসারকে সাসপেন্ড করেছে নির্বাচন কমিশন। তালিকায় ২ ইআরও (ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার) এবং ২ এইআরও (অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার)। ওই চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। এই বিষয় নিয়ে বুধবার সভা থেকে গর্জে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, এখনও নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়নি। কমিশনের অধীনে রাজ্য প্রশাসন নয়। তাহলে, কোন অধিকারে রাজ্যের চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হল? প্রশ্ন তুলে আক্রমণ করেন মমতা।

সেই প্রসঙ্গে টেনে এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের (Abhishek Banerjee) মতে, কমিশনের মূল উদ্দেশ্যই হল, সরকারকে কাজ করতে না দিয়ে বিজেপিকে বাড়তি সুযোগ করে দেওয়া। কেন নির্বাচন কমিশন এই কাজ করছে, বাংলার যারা প্রকৃত ভোটার তারা যাতে ভোট দিতে না পারে এবং বিজেপির সুবিধা হয়। তার জন্য কমিশনের এই অতিসক্রিয়তা চলছে। নির্লজ্জ ভূমিকায় নেমেছে। নির্বাচন কমিশনের এটা এক্তিয়ার নয়। তারা রাজ্য সরকারকে বড় জোর জানাতে পারে। একটা নির্বাচিত সরকার যাকে বাংলার ১২ কোটি মানুষ জিতিয়ে এনেছে। বাংলার সরকার বাংলার মানুষের কাছে দায়বদ্ধ তাদের সঙ্গে নিয়ে এর জবাব দেবে। তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন যে কাজ করছে, তা তাদের এক্তিয়ারের বাইরে। নির্বাচনী আচরণবিধি জারি হওয়ার পরই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব শুরু হয়। তখনই তারা রাজ্যের অসামরিক ও ফৌজদারি/পুলিশ প্রশাসন নিজেদের হাতে নিতে পারে, যাতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। কিন্তু গত ৩–৪ মাস ধরে, যখন নির্বাচন এখনও ১০–১১ মাস পরে, তারা যে কাজ শুরু করেছে, তা স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, তারা একটি নির্বাচিত সরকারকে কাজ করতে দেবে না বলেই এটা করেছে। এটা বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই করা হয়েছে।”

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–