বিক্ষোভ-অভিযান সামলাতে প্রস্তুত ছিল পুলিশ-প্রশাসনিক। কিন্তু শুভেন্দু অভিকারী, অগ্নিমিত্রা পালের উস্কানিতে গোলমাল বাঁধে বিভিন্ন জায়গায়। শনিবার, বেলা ১১টা থেকেই ধর্মতলা থেকে শুরু করে নবান্ন চত্বর, সাঁতরাগাছিতে (Santragachi) ব্যারিকেড দিয়ে আন্দোলন আটকানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পার্কস্ট্রিটের ব্যারিকেডে করে আটকে দেয় পুলিশ। সেখানেই বসে পড়েন শুভেন্দুরা। এদিকে, নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) যোগ দিতে ইতিমধ্যেই ডোরিনা ক্রসিং-এ পৌঁছেছেন অভয়ার মা-বাবা।
ঠিক একবছর আগে এই আট অগাস্ট মধ্যরাতে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নৃশংস ভাবে ধর্ষণ-খুন হয় তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার। তারপরে বিচারের দাবিতে রাজ্য তথা দেশজুড়ে অনেক আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে। এক বছর পর ফের সেই মৃত্যুকে সামনে রেখে শনিবার নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) হচ্ছে। তবে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগে থেকেই তৎপর ছিল পুলিশ। ব্যারিকেড সরাতে ইট দিয়ে আঘাত করে সাঁতরাগাছির পুলিশি ব্যারিকেডের ভাঙার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা।
এই আন্দোলনকে রুখতে সকাল থেকে প্রশাসন একেবারে প্রস্তুত। এবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নজিরবিহীন। মিছিল রুখতে ব্যারিকেডের উল্টোদিকে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস নিয়ে তৈরি পুলিশ। নবান্ন ছাড়াও চত্বর ছাড়াও সাঁতরাগাছি-সহ বাকি যে সব জায়গায় ব্যারিকেড দেওয়া হয়। সিমেন্ট, লোহার বিম ও মোটা লোহার রড ব্যবহার করা। এগুলি ভাঙা, বাঁকানো বা সরানো প্রায় অসম্ভব।
এদিকে এদিন বেলা প্রায় পৌনে ১২টা নাগাদ বিধানসভা থেকে সরাসরি ডোরিনা ক্রসিংয়ে পৌঁছে যান শুভেন্দু। সঙ্গে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল, সাংসদ অর্জুন সিং-সহ অন্যান্য নেতারা। তবে, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে পৌঁছতেই শুভেন্দুদের আটকে দেয় পুলিশ। রুট বদল করে জওহরলাল নেহেরু রোড ধরে মিছিল এগিয়ে যায় বিজেপি। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পার্কস্ট্রিটে লাঠি চালাতে বাধ্য হয় কলকাতা পুলিশ। সেখানেই বসে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতৃত্ব। শুক্রবার কলকাতা এবং রাজ্য পুলিশ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর নবান্ন এবং ওই ভবন সংলগ্ন এলাকায় জমায়েত করা যাবে না।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–