১৯০৫ সালে ব্রিটিশের বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতায় সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত তৈরি করে রাখী বন্ধন উৎসব (Raksha Bandhan Utsav) শুরু করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)। বিশ্বকবির সেই পদক্ষেপের প্রায় একশ কুড়ি বছর পর আজ ফের বাংলা বাঙালিকে হেনস্থা করা, মাতৃভাষাকে অপমান করার ঘৃণ্য চক্রান্ত চলছে। তাই এই বছরের ‘রাখী বন্ধন উৎসব’ শুধু আবেগের নয় বরং বাংলা বিরোধীদের ভাষা সন্ত্রাস ও বিভাজনের রাজনীতির প্রতিবাদের প্রতিফলন। পরিকল্পিতভাবে বাংলাভাষীদের উপর যারা আক্রমণ করছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাংলা ভাষাকে অসম্মান করে চলেছে – সম্প্রীতের এই উৎসবের দিনই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই বাংলা বিরোধীদের বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলার শপথ নেওয়ার পালা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশ মতো ব্লক থেকে জেলা, গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র আজ সৌভ্রাতৃত্ব আর ভালবাসার বন্ধনে পালিত হচ্ছে রাখী বন্ধন উৎসব।

সম্প্রতি সংহতি সেতুবন্ধনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal) যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দফতরের পক্ষ থেকে ৯ই আগস্ট নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে (NIS) সকাল ১১ টায় ‘রাখী বন্ধন উৎসব’ পালন করা হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)। উপস্থিত থাকবেন সমাজের সম্মানীয় বিশিষ্টরা। পাশাপাশি টলিপাড়াতেও (Tollywood) শনিবার দিনভর সিনে টেকনিশিয়ান, কলাকুশলী, অভিনেতা-অভিনেত্রী পরিচালকদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন স্টুডিওতে রাখী বন্ধন উৎসব চলবে বলে ফেডারেশনের (FCTWEI) তরফে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি জেলা থেকে শহর সর্বত্রই এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে সাধারণ মানুষের উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। কলকাতা সহ শহরতলীর বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের পথচলতি মানুষকে রাখী পরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মিষ্টি – শরবত বিতরণ করার আয়োজনও করা হয়েছে।

–

–

–

–

–

–
–

–

–