রাজনীতির ময়দানে ঠাঁই না পেয়ে কুকথার আশ্রয়। নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখতে যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ শুক্রবার, তাতে ভেস্তে গিয়েছে বিজেপির যাবতীয় পরিকল্পনা। শেষে মেজাজ হারিয়ে কলকাতার নগরপালকে (CP, Kolkata Police) কুকথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary)। তবে এই প্রথমবার নয়, শুভেন্দু অধিকারী এক্ষেত্রে কার্যত হ্যাবিচুয়াল অফেন্ডার (habitual offender)। যদিও এই তালিকায় তিনি একা নন। সেখানেই বাংলার রাজনীতিকদের ভাষার নেতিবাচক দিক নিয়ে সরব কবি সুবোধ সরকার (Subodh Sarkar)।

শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারী যে ভাষায় নগরপাল মনোজ ভার্মাকে আক্রমণ করেছেন তার নিন্দায় সুবোধ সরকার জানান, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে রাজনীতিবিদদের মুখের ভাষা আজ এখানে এসে পৌঁছেছে। গতকাল যেভাবে এবং যে ভাষার বিরোধী দলনেতা (LoP) কলকাতার নগরপালকে (CP, Kolkata Police) আক্রমণ করেছেন এটা মেনে নেওয়া যায় না। আগে একটা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বলে কথা ছিল। এখন সেটা নিয়ে কারও কোনও মাথা ব্যথা নেই। তবে আমি দেখেছি তিনি বারবার এই ভাষা বলেন।

এক্ষেত্রে রাজনীতিকদের ভাষা সন্ত্রাসে শুধুমাত্র বিরোধী দলনেতাই যে অভিযুক্ত, এমনটা মনে করেন না কবি সুবোধ সরকার। সম্প্রতি বাম নেত্রী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় যে ভাষায় তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে আক্রমণ করেছিলেন সেই প্রসঙ্গে তুলে সুবোধ সরকারের দাবি, যাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল বলে মনে করেন, শিক্ষিত বলে দাবি করেন, তাঁদের মহিলা নেত্রীর মুখের ভাষা শুনে চমকে উঠে ছিলাম। এই ভাষায় যে কাউকে রাজনৈতিকভাবে আক্রণ করা যায়। এটা প্রমাণিত রাজনৈতিকভাবে পর্যুদস্ত হতে হতে শূন্যে বিলিয়মান হতে হতে তাঁদের হতাশাই এই ভাষাকে মুখ থেকে বের করে আনে।

আরও পড়ুন: আহত অভয়ার মা: দুভাগ ‘আন্দোলন’ মঞ্চ! পিছনে ধস্তাধস্তি করে প্রচারের আলোয় কারা, প্রশ্ন তৃণমূলের

রাজনীতিকদের অপভাষা সমাজে তাদেরই কোথায় পৌঁছে দেয়, তা স্পষ্ট করে কবির দাবি, এই ধরনের অপভাষায় আমাদের মত সাধারণ মানুষের কাছে যে বার্তা পৌঁছয়, সেটা রাজনৈতিকভাবে খুব একটা ইতিবাচক নয়। এই ধরনের রাজনীতিবিদ সম্পর্কে একটা বিবমিষা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। আমি যে কোনও রকম অপভাষার বিরুদ্ধে। এবং তা যদি কোন পাবলিক ফিগারের মুখ থেকে বেরোয় তার অভিঘাত সুদূর প্রসারী। আমি এই অপভাষার নিন্দা করছি।

–

–

–
–

–
