নরেন্দ্র মোদির ছবি দিয়ে প্রচার না করলেই বঞ্চনা রাজ্যকে। শিক্ষা হোক, বা স্বাস্থ্য – সর্বত্রই কেন্দ্রের সরকারের প্রচার বাণিজ্য না হলে দেশের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন মৌলিক অধিকার থেকে। কোথায় সেবা? এবার সেই প্রশ্নই নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) দিকে ছুঁড়লেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। দেশের মানুষের যে কাজকে এতদিন সেবা বলে দেখা হত, সেই সেবার বাণিজ্যিকরণ (commercialisation) নিয়ে এবার প্রকাশ্যে সরব আরএসএস প্রধান।

মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে (Indore) আরএসএস-এর একটি অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবত দাবি করেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সাধারণ মানুষের মৌলিক চাহিদা। মানুষ ভালো শিক্ষার জন্য নিজের ঘর-বাড়ি বিক্রি করতে পিছপা হন না। আবার সুচিকিৎসার জন্যও জমি-বাড়ি বিক্রি করে থাকেন। কারণ তাঁরা জানেন সুস্বাস্থ্য ছাড়া শিক্ষা বা কোনও কাজ সম্ভব নয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য আজকের দিনে সেই শিক্ষা ও স্বাস্থ্য তাদের নাগালের বাইরে। সাধারণ মানুষের আর্থিক সামর্থেরও বাইরে। অর্থাৎ সহজে সুলভও নেই, সস্তাও নেই।

এর কারণও ভাগবত নিজেই ব্য়াখ্যা করেন। তিনি বলেন, শিক্ষার জন্য স্কুল কী কম? না তা নয়। হাসপাতালের সংখ্যা কী কম? তাও নয়। সুযোগ সুবিধা রয়েছে। জ্ঞানী ব্যক্তিরও সংখ্যা কম নেই। কিন্তু বাস্তব হল, সেগুলি সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।

আরও পড়ুন: শিয়ালদহ স্টেশনের নাম-রাজনীতি বিজেপির! কেন স্বামীজির নামে নয়, প্রশ্ন তৃণমূলের

কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যেভাবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বেসরকারিকরণ শুরু করেছে, তার প্রতিবাদে সরব বিরোধীরা। এমনকি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জীবন ও স্বাস্থ্য বিমার উপরও কেন্দ্রের চড়া হারে জিএসটি, যার প্রতিবাদ প্রথম থেকেই তৃণমূল করে এসেছিল। বাধ্য হয়ে সেই জিএসটি প্রত্যাহারের পথ নেয় কেন্দ্রের মোদি সরকার। সেই সরকারের মন্ত্রীর বক্তব্য উল্লেখ করেই মোহন ভাগবত শিক্ষা-স্বাস্থ্যের বাণিজ্যিকরণের বিরোধিতায় সরব হন। তিনি অভিযোগ করেন, আগে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে সেবা-র স্থানে রাখা হত। আজ এগুলিকেও বাণিজ্যিকরণের মধ্যে এনে ফেলা হয়েছে। মানুষের চিন্তাভাবনা এমন বানিয়ে ফেলেছে। কয়েক বছর আগে এক মন্ত্রীর বক্তব্য শুনেছিলাম এই নিয়ে। তিনি বলেছিলেন যে ভারতে শিক্ষা ট্রিলিয়ন (trillion) ডলারের ব্যবসা। এখন ব্যবসা তো সাধারণ নাগরিকের নাগালের বাইরে কারণ এটা করতে তো টাকা লাগে। তাই সাধারণ নাগরিকের নাগালের বাইরে শিক্ষা। যার পুঁজি রয়েছে তিনিই পাবেন।

–

–

–
–

–
