নবান্ন (Nabanna)অভিযানে বিজেপির নিকৃষ্ট রাজনীতির শিকার অভয়ার বাবা- মা। শনিবার আরজি কর (RG Kar Hospital)কাণ্ডের এক বছরের মাথায় ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডের ‘বিচার’ চেয়ে পথে নেমেছিলেন চিকিৎসকের মা। সেখানেই তিনি আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী পরিকল্পিতভাবে পুলিশের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করলেও, চিত্র সাংবাদিকদের ক্যামেরায় বিজেপির ‘ন্যাড়া নাড়ু’র ধাক্কা মারার ছবি ধরা পড়েছে বলে জানান তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। শনিবার বিকেলেই নির্যাতিতার মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে আঘাত গুরুতর নয় বলে জানিয়েছিলেন ডাক্তাররা। রবিবার দুপুরে ছাড়া পেলেন তিনি। এদিন তৃণমূল নেতা বলেন, আগেও ওনারা অনেক মিছিলে সামিল হয়েছেন কিন্তু এরকম ঘটনার মুখে পড়তে হয়নি। কিন্তু বিজেপির মিছিলে গিয়েই আহত হলেন কেন? আর এত ক্যামেরা, মিডিয়া থাকা সত্ত্বেও পুলিশ মেরেছে বলে যে দাবি করছে গেরুয়া দল তার কোনও ছবি কেন দেখা যাচ্ছে না? “ওনারা তৃণমূলের মিছিলে গেলে আমরা বুক দিয়ে আগলে রাখতাম” বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে নবান্ন অভিযানের ডাক যে আসলে বকলমে বিজেপির (BJP)কর্মসূচি ছিল তা রাজ্যের মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। শনিবার দুপুরে কিছু শুভেন্দু অনুগামীদের সঙ্গে মিছিলে দেখা যায় মৃতার মা-বাবাকে। ফ্রেমে বারবার ধরা পড়েন কৌস্তভ বাগচি। ধাক্কাধাক্কির সময়ও তাঁকে হাত দিয়ে অভয়ার মাকে ঠেলতে দেখা গেছে। এরপরই মহিলার আহত হওয়ার খবর সামনে আসে। তিনি জানান, তাঁর কপাল এবং পিঠে আঘাত লেগেছে। বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা জানান আঘাত গুরুতর নয়। তবে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু হয়।এদিন সকালে হাসপাতালের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, নির্যাতিতার মা রাতে ভাল ভাবে ঘুমিয়েছেন। মাথা ধরার মতো কোনও সমস্যা তাঁর নেই। সকালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানেই হাঁটেন তিনি। পাশাপাশি স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দল নির্যাততের মাকে দেখে যায়। দুপুরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

–

–

–

–

–

–
–

–

–