গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধে পুলিশি অতি-সক্রিয়তা। এটাই বিজেপির দমননীতির প্রধান অস্ত্র। সাধারণ মানুষ থেকে সাংসদ, কেউ বাদ পড়লেন না দিল্লি পুলিশের অত্যাচারের হাত থেকে। সোমবার নির্বাচন কমিশন ঘেরাও অভিযানে নামতেই বিরোধী সাংসদদের সংসদ ভবন চত্বরের বাইরে আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ। কিন্তু নির্বাচন কমিশনে গিয়ে সাংসদদের গণতন্ত্র রক্ষার শপথকে আটকাতে না পেরে শেষে মহিলা সাংসদদের শাড়ি, চুলের মুঠি ধরে মার দিল্লি পুলিশের। নক্কারজনক ভূমিকা নিয়ে সরব তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষ।

সোমবার সংসদ চত্বরের বাইরে কয়েকশো বিরোধী সাংসদ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে দিল্লি পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাঁদের আটকায়। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সুস্মিতা দেব, সাগরিকা ঘোষ, মিতালি বাগরা সেই ব্যারিকেড টপকে এগিয়ে যেতে থাকেন। তাঁদের দেখেই বিরোধী দলের সাংসদ অখিলেশ যাদব থেকে অন্যান্য নেতারাও ব্যারিকেড টপকান।

এরপরই সাংসদদের উপর কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়ে দিল্লি পুলিশ। ধস্তাধস্তিতে সংজ্ঞা হারান সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। সেই অবস্থাতেই তাঁকে পুলিশ বাসে তুলে দেয় অন্যান্য সাংসদদের সঙ্গে। সংজ্ঞা হারান আরেক তৃণমূল সাংসদ মিতালি বাগও (Mitali Bag)। এগিয়ে আসেন বিরোধী দলের সাংসদরা। রাহুল গান্ধী ও জন ব্রিট্টাস তাঁকে গাড়িতে তোলার ব্যবস্থা করেন।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে বিক্ষোভে বিরোধীরা: মিছিল শুরু করতেই সাংসদদের আটকালো দিল্লি পুলিশ

আর দিল্লি পুলিশের এই দমননীতিতে সরব সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। তিনি স্পষ্ট দাবি করেন, মহিলা সাংসদদের ধাক্কা মেরে, ঠেলে, চুলের মুঠি ধরে টেনেছে দিল্লি পুলিশ। সাংসদ মহুয়া মৈত্র সংজ্ঞা হারান। এই আচরণ জঘন্য। এটা মোদি সরকার ও মোদির পুলিশের গণতন্ত্রকে পিষে দেওয়ার একটা উদাহরণ। মহিলা সাংসদদেরও ধাক্কা মেরে বাসে তোলা হয়েছে।

— Sagarika Ghose (@sagarikaghose) August 11, 2025
–

–

–
–
