সত্যি কথা বললেই মুখ বন্ধ করে দাও। প্রতিবাদ করলেই কণ্ঠরোধ করে দাও। বিজেপির দমননীতির শিকার রাজধানীর বুকে কয়েকশো বিরোধী সাংসদ। নির্বাচনে কমিশনের এসআইআর-এর নামে কারচুপির বিরুদ্ধে বিরোধী জোটের সাংসদরা দিল্লিতে পথে নামতেই সক্রিয় অমিত শাহর পুলিশ। সংসদ ভবন চত্বরের বাইরে বেরোতেই বিরাট পুলিশি ব্যারিকেডে আটকে দেওয়া হল সাংসদদের কয়েকশো প্রতিনিধিকে।
আদতে যে নির্বাচন কমিশনই বিরোধীদের সঙ্গে দেখা করতে চায় না, তা স্পষ্ট হয়ে গেল বিরোধীদের উপর পুলিশের বল প্রয়োগেই। সংসদ চত্বর থেকে মিছিল করে দেশের জনপ্রতিনিধিরা এগোনোর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। পুলিশের ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টা করলে তাঁদের টেনে হিঁচড়ে নামানো হয় সেখান থেকে। এরপর দিল্লি পুলিশের বাসে ধাক্কাধাক্কি করে ঠেলে তোলা হয় সাংসদদের।
দিল্লি পুলিশের দাবি, নির্বাচন কমিশনের দফতরে ৩০ জনের প্রতিনিধি দলের যাওয়ার অনুমতি ছিল কমিশনের দফতরে। আদতে তার কোনও সুযোগই দেয়নি দিল্লি পুলিশ। সব বিরোধী দলের সাংসদদের বাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায়। সেখানেই বসিয়ে রাখার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশনে তাঁরা যেতেই পারেননি।
রবিবার নির্বাচন কমিশনের তরফেই কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশকে চিঠি দিয়ে বেলা ১২টার সময় বৈঠকের কথা জানানো হয়েছিল। আদতে সেটা যে লোক দেখানো ছিল, তা স্পষ্ট দিনের শেষে। তবে বিরোধীদের আন্দোলন ভাঙতে বিভেদের রাজনীতিও করার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। যদিও সোমবারের আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন অংশের রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধিরা একজোট হয়ে নিজেদের সত্ত্বা বজায় রেখে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন।
আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে দু’ঘণ্টা, প্রাণহাতে ল্যান্ডিং! বিমান যাত্রার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শেয়ার কংগ্রেস নেতার
এমনকি বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন চলাকালীন বিভিন্ন দলের সাংসদরা অসুস্থ হয়ে পড়লেও সেই অন্য দলের সাংসদরা তাঁদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও মিতালি বাগ সংজ্ঞা হারালে কংগ্রেস, শিবসেনা ও সিপিআইএম সাংসদরা তাঁদের সুস্থ করার ব্যবস্থা করেন। অথচ সেই পরিস্থিতিতে দেশের জনপ্রতিনিধিদের উপর বল প্রয়োগের পথই বেছে নেয় দিল্লি পুলিশ। টেনে হিঁচড়ে বাসে তুলে প্রথমে জানানো হয় তাঁদের নির্বাচন কমিশনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অথচ শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয় পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায়। বাদ পড়েননি বর্ষীয়ান মালা রায়, মল্লিকার্জুন খাড়গে, শারদ পাওয়ারের মতো সাংসদরাও।
–
–
–
–