রাজনৈতিক ব্যর্থতা ও হতাশা থেকেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কুকথার আশ্রয় নিচ্ছেন—এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “রাজনীতির ময়দানে সুযোগ না পেয়ে, নিতান্ত একাকী হয়ে বিরোধী দলনেতা অপভাষার পথ বেছে নিয়েছেন।

কুণাল জানান, কলকাতা পুলিশ নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখায় বিজেপির যাবতীয় পরিকল্পনা ভেস্তে যায়, আর তার জেরেই শুভেন্দু অধিকারী মেজাজ হারিয়ে নগরপালকে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, এটা প্রথম নয়, বিরোধী দলনেতা আসলে হ্যাবিচুয়াল অফেন্ডার। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখন রাজনীতিকদের মুখের ভাষা এমন জায়গায় নেমে এসেছে যে, কোনও সুস্থ মানুষই তা মেনে নিতে পারবেন না।

কুণালের আরও অভিযোগ, বাংলায় একসময় রাজনৈতিক শিষ্টাচার বজায় থাকলেও এখন তা বিলীন হয়ে গিয়েছে। বাম শিবিরের নেত্রীদের মুখ থেকেও অপভাষা শোনা গেছে বলে দাবি করেন তিনি। কুণালের কথায়, রাজনৈতিকভাবে পর্যুদস্ত হয়ে শূন্যে বিলীন হওয়ার হতাশাতেই দুর্গন্ধযুক্ত ভাষা বেরিয়ে আসছে। এর প্রভাব সাধারণ মানুষের কাছে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেয় এবং রাজনীতিবিদদের প্রতি বিতৃষ্ণা তৈরি করে।”

তিনি স্পষ্ট জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে অপভাষার বিরুদ্ধে। যদি কোনও পাবলিক ফিগারের মুখ থেকে এমন কথা বের হয়, তার অভিঘাত সুদূরপ্রসারী হয়। ভবিষ্যতের জন্য আমরা কী রেখে যাচ্ছি, সেটা আমাদের নিজেদেরকে ভাবতে হবে,—মন্তব্য কুণাল ঘোষের।

আরও পড়ুন – তৃণমূলের নেতৃত্বে সোমে কমিশন ঘেরাও অভিযান বিরোধীদের

_

_

_

_

_

_