ভোজনরসিক বাঙালির রসনা আরও কয়েকগুণ বড়ো হয়ে যায় বর্ষায়। কারণ অবশ্য জলের রূপোলি শস্য। মাথা থেকে ল্যাজা- এমনকী, তেলটাও ফেলনা নয়। সব কিছু দিয়েই কিছু না কিছু পদ রেঁধে ফেলে বাঙালি। সঙ্গে চাই খাঁটি সর্ষের তেল। আর এই দুইয়ের যোগাযোগ ঘটল বর্তমান পত্রিকার উদ্যোগে ফরচুনের (Fortune) সহযোগিতায় আয়োজিত ‘বর্ষামঙ্গল’-এ। নাচে-গানে, গল্পে, আড্ডায় জমজমাট রবিবার। সঙ্গে ইলিশের তেল থেকে শুরু করে ভাপা। বাঙালির আর কী চাই! মঞ্চেই মাছ ভাজলেন মহারাজ। ‘ফরচুন’-এর বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে এই মঞ্চেই আত্মপ্রকাশ ‘সোনাদা‘ আবিরের।
প্রধানত ‘ফরচুন’-এর (Fortune) সহযোগিতায় রান্না প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল ‘বর্তমান’ পত্রিকা। তারই চূড়ান্ত পর্ব ‘বর্ষামঙ্গল’ অনুষ্ঠিত হল রবিবার দিনভর নিক্কোপার্কের ওয়েস্টসাইড প্যাভেলিয়নে। একদিকে রান্নার প্রতিযোগিতা। অন্যদিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আর একদিকে পেটপুরে ইলিশ খাওয়া। যাঁরা টিকিট কেটে এসেছিলেন, ৪৯৯ টাকায় তাঁরা কব্জি ডুবিয়ে খেয়েছেন- ভাত, ডাল, গয়না বড়ি, আলু ভাজা, শুক্তো, ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে ছ্যাঁচড়া, ইলিশের তেল, ইলিশ ভাজা, ইলিশের তেল ঝাল, ইলিশ ভাপা, চাটনি, পাপড়, তিন রকমের মিষ্টি ও দই।
একমাস ধরে কলকাতা-সহ বিভিন্ন জায়গার ১৪টি আবাসনে হয়েছে সেরা রাঁধুনি বাছাইয়ের প্রতিযোগিতা। পাশাপাশি, ই-মেলে এসেছে হাজার খানেক রেসিপি। সব মিলিয়ে ২০জন রাঁধুনি জায়গা করে নেন চূড়ান্ত পর্বে। রবিবার তাঁরাই নেমে পড়েন রন্ধন-যুদ্ধে।
একদিকে যখন খাওয়া-দাওয়া আর রান্নার প্রতিযোগিতা তখন আরেক দিকে গানে গানে মঞ্চ মাতিয়েছেন পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্নিবার সাহারা। ছিলেন বাংলা সিরিয়ালের একঝাঁক নতুন পুরনো-মুখ। জমজমাট আড্ডা হল অপরাজিতা আঢ্য, বিশ্বনাথ বসুদের। এর পরই মঞ্চে এলেন বিসিসিআই-এর প্রাক্তন সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguli) ও অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee)। ‘ফরচুন’-এর বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে এই মঞ্চেই আত্মপ্রকাশ করলেন আবির। ছিলেন আদানি গোষ্ঠির অন্যতম সিইও-এমডি অংশু মল্লিক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাহেব চট্টোপাধ্যায় ও রাজন্যা মিত্র। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu), বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)-সহ বিশিষ্টরা।
সৌরভের কথায় উঠে এলো স্কুল জীবনের বর্ষাকালের গল্প, বেহালার জলজমা। তবে, শুধু গল্পই নয়, রীতিমোত খুন্তি নেড়ে ইলিশ ভাজলেন বাংলার মহারাজ। প্রায় দেড় হাজার মানুষ পাতপেড়ে ইলিশ খেয়েছেন। প্রতিযোগিতায় প্রথম হন কসবার বাসিন্দা তানিয়া মাইতি, দ্বিতীয় গড়িয়ার প্রুডেন্ট প্রাণা আবাসনের বাসিন্দা রূপা হালদার ভৌমিক ও তৃতীয় বাঘাযতীনের একতা হাইটসের বাসিন্দা তাপসকুমার বিশ্বাস।
আরও খবর: মিথ্যাচার আর নাটকের সব সীমা পার! অভয়ার বাবার ‘অভিযোগে’র পিছনে কারা, প্রশ্ন কুণালের
–
–
–
–
–