দেশের জাতি, ধর্ম, ভাষার মধ্যে বিভেদের পাঁচিল তুলে ভোটের ফায়দা লোটার বিজেপির খেলা এবার শেষ। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিরোধী সাংসদদের একজোট হয়ে প্রতিবাদে ভয় পেয়ে শেষমেশ পুলিশ দিয়ে ধরপাকড় করতে বাধ্য হল কেন্দ্রের মোদি সরকার। যে প্রতিবাদ, আলোচনা সংসদে হতে দেয়নি কেন্দ্রের স্বৈরাচারী সরকার, সেই প্রতিবাদ বিরোধী সাংসদরা নামিয়ে আনলেন রাস্তায়। বিজেপির এজেন্ট নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পথে নামা বিরোধীদের দেশের বিভেদের মধ্যে ঐক্যের বাস্তব চিত্র, বলেই দাবি তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Ritabrata Banerjee)।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাধারণ মানুষের সমর্থনে বিক্ষোভের পরে সোমবার নির্বাচিত সাংসদরা রাজধানীর রাস্তায় নজিরবিহীন প্রতিবাদে সামিল। প্রত্যেক বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা যেভাবে প্ল্যাকার্ড (plackard) ও স্লোগান (slogan) দিয়ে বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর প্রতিবাদে সামিল হন, তাতে তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত প্রতিক্রিয়ায় জানান, এটাই ভারতের বিভেদের মধ্যে ঐক্যের বাস্তব চিত্র। দেশের সমগ্র বিরোধীরা এখানে ঐক্যবদ্ধ। তাঁদের হাতে নিজেদের ভাষায় প্ল্যাকার্ড (plackard)। তাঁরা নিজস্ব সংস্কৃতির পোশাকে। প্রতিবাদে সরব হয়েছেন নিজেদের মাতৃভাষায়। এটাই সংসদে এসআইআর (SIR) নিয়ে বিজেপির সরকার যে আলোচনা নাকচ করে দিয়েছে, এই প্রতিবাদ তারই বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: মহিলা সাংসদদের চুল-শাড়ি টেনে নিগ্রহ! দুই তৃণমূল সাংসদ জ্ঞান হারালেন পুলিশি ‘তৎপরতায়’
বিরোধীদের সম্মিলিত সেই প্রতিবাদকে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় তাকে তৃণমূল সাংসদ ‘কালো দিন’ (black day of democracy) বলে দাবি করে জানান, নির্বাচন কমিশন বিজেপির এজেন্টের কাজ করছে। কমিশনে আমাদের যেতেই দেওয়া হল না। পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের আটকাতে। এটা গণতন্ত্রের কালো দিন। এটাই বাস্তবের সুপার এমার্জেন্সি (super emergency)।
–
–
–
–
–
–