অভয়ায় মৃত্যুদিনে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল BJP। রাজনৈতিক প্রত্যক্ষ ছোঁয়াচ বাঁচাতে সেই আন্দোলনে যোগ দেয়নি অভয়া মঞ্চ। আর তাই নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অভয়া মঞ্চের সদস্যদের সিপিএম (CPIM) বলে দাগিয়ে দিয়েছেন আর জি করের মৃত চিকিৎসক-পড়ুয়ার বাবা। যদিও এর আগে নিজেই বামেদের মঞ্চে গিয়েছিলেন তিনি ও তাঁর স্ত্রী। এর জবাবে বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্থান জানাল অভয়া মঞ্চ (Abhaya Manch)। একই সঙ্গে তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দিল, অভয়া মঞ্চ কোনো রাজনৈতিক দলের সংগঠন নয়।
অভয়া মঞ্চের (Abhaya Manch) পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে লেখা হয়েছে,
“সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে ‘অভয়া’ র বাবার একটি বিবৃতির প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে ‘অভয়া মঞ্চে’র পক্ষ থেকে আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানাতে চাই, ‘অভয়া মঞ্চ’ কোনো রাজনৈতিক দলের সংগঠন নয়। এবং সমস্ত রকম দলীয় রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে চিকিৎসক-সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিবাদী মানুষ ও সংগঠনকে নিয়েই এই মঞ্চ তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক ও কেন্দ্রীয় লক্ষ্য অভয়ার ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করা। আর যেন কোন অভয়া না হয় সেই লড়াই চালিয়ে যাওয়া। অভয়া মঞ্চ মনে করে, অভয়া’র হত্যা একটি প্রাতিষ্ঠানিক হত্যা এবং রাজনৈতিক। আজ পর্যন্ত ন্যায় বিচার না পাওয়াটাও সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করা বা লক্ষ্যভ্রষ্ট করার জন্য উভয় সরকার একই রকম উদ্যোগী। স্বাভাবিক কারণেই অভয়া মঞ্চের সঠিক বিচার ছিনিয়ে আনার প্রত্যয় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কিন্তু অদলীয়। অভয়া’র মা ও বাবার লড়াইকে আমরা কুর্নিশ জানাই এবং তাদের পাশে দাঁড়িয়ে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই সঠিক বিচার ছিনিয়ে আনার জন্য অভয়া মঞ্চ তাঁদের সাথে এই লড়াইতে আগেও ছিল, আজও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। অভয়ার মা, বাবার পাশে থেকে, সঙ্গে থেকে ন্যায়বিচার ছিনিয়ে আনতে অভয়া মঞ্চ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, বদ্ধপরিকর। আগামী ১৪ ই আগস্ট রাত দখল করে আবারো বাংলার মানুষ এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবেন এই প্রত্যাশা রাখি।“
অভয়ার মা-বাবার অপরিসীম দুঃখ ও মানসিক দুর্বলতাকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে লাগাচ্ছে বিরোধীরা- এই অভিযোগ রাজ্যের শাসকদলের। বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক দলের মঞ্চেও দেখে গিয়েছে অভয়ার মা-বাবাকে। তাঁরাই আবার অভিযোগ অভয়া মঞ্চের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ করেছেন। আর তাতেই চটেছেন তমনাশরা।
আরও খবর: কেন্দ্রের তথ্যেই বিজেপির মিথ্যাচার ফাঁস, শিল্পায়নে এগিয়ে বাংলা
–
–
–
–
–
–
–