রাত পোহালেই যুবভারতীতে ডার্বির (Derby) মহারণ। মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল (Eastbengal) ও মোহনবাগান (MBSG)। কিন্তু সেই ম্যাচেই খেলতে পারবেন না ইস্টবেঙ্গলের (Eastbengal) নতুন বিদেশি রশিদ। বাবা মারা গিয়েছেন। সেই খবর পেয়েই প্যালেস্তাইনে ফিরে গিয়েছেন রশিদ। আর সেটাই যেন এখন সৌভিকদের (Souvik Chakrabarti) ডার্বি জয়ের জন্য সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডার্বির আগের দিন সৌভিক চক্রবর্তীর সাফ ঘোষণা। এই ডার্বি ইস্টবেঙ্গল এবার রশিদের জন্যই জিততে চায়। ডার্বি ঘিরে যে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ডুরান্ড কাপে দুরন্ত ছন্দে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। শেষ ম্যাচেও তারা জিতেছে ৬-১ গোলে। দলের ফুটবলারদের যে আত্মবিশ্বাস এই মুহূর্তে তুঙ্গে রয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ম্যাচের আগের দিন হাল্কা অনুশীলনই ছিল ইস্টবেঙ্গলের। এদিন কার্যত দলের ফর্মেশনই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে নিলেন ইস্টবেঙ্গল দলের হেডস্যার। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নামার আগে দলের ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে ওঠাটাই যেন বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে অস্কার ব্রুজোঁকে। সেইসঙ্গে এই ডার্বি এবার মহম্মদ রশিদকে উৎসর্গ করতে চাইছেন সৌভিক চক্রবর্তীও (Souvik Chakrabarti)।
সৌভিক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “রশিদের বাবা প্রয়াত হয়েছেন। সেটা খুবই দূর্ভাগ্যজনক। রশিদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে। ও নেই ঠিকই। তবে আমরা চাই ডার্বি জিতলে সেটা রশিদকেই উৎসর্গ করতে”।
অন্যদিকে নিজের দলের শক্তি যেমন পরীক্ষা করে নিয়েছেন, তেমনই অস্কার ব্রুজোঁ মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের দুর্বলতা নিয়েও বেশ ওয়াকিবহাল। কোথায় কোথায় মোহনবাগানের দুর্বলতা রয়েছে সেই নিয়ে হোমওয়ার্ক সারা হয়ে গিয়েছে। সেখানেই ধাক্কাটা দিতে চান লাল-হলুদ কোচ। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার।
–
–
–
–
–
–
–