দেশের একের পর এক সিদ্ধান্তে আরএসএসের প্রভাব স্পষ্ট। স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় দেশের স্বাধীনতা ও গঠনে আরএসএস-এর ভূমিকা তুলে ধরেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এবার সেই সংঘেরই সক্রিয় কর্মীকে দেশের উপরাষ্ট্রপতি (vice-president) পদে মনোনিত করল এনডিএ জোট। বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda) ঘোষণা করেন মহারাষ্ট্রের বর্তমান রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণণের (C P Radhakrishnan) নাম।
মহারাষ্ট্রের বর্তমান রাজ্যপাল রাধাকৃষ্ণণ এর আগে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলেছেন। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলেছেন তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল হিসাবে এবং পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নরেরও। প্রশাসনিক দায়িত্ত্বের আগে রাজনৈতিক ভূমিকাও যথেষ্ট রয়েছে সিপি রাধাকৃষ্ণণের। তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের দুবারের সাংসদ তিনি। এছাড়াও তামিলনাড়ুর বিজেপির রাজ্য সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।
তাঁর এই রাজনৈতিক জীবনের শুরু অবশ্য সংঘের হাত ধরে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে আরএসএস-এর জনসংঘের সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে তামিলনাড়ুর তিরুপুরে আরএসএসের (RSS) একাধিক পদ সামলেছেন। সেখান থেকেই তাঁর বিজেপিতে আসা।
দেশের প্রশাসনের একাধিক সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপে যে ধর্মীয় মেরুকরণের বিজেপির স্বৈরাচারী পদক্ষেপ সম্প্রতি দেখা গিয়েছে তার পিছনে আরএসএস-এর প্রভাব ছিল বলে রাজনীতিকদের দাবি ছিল। এবার উপরাষ্ট্রপতি পদে সিপি রাধাকৃষ্ণণের মনোনয়ন সেই ধারণাকে প্রমাণিত করল। জেপি নাড্ডা জানান, বিরোধীদের কাছে রাধাকৃষ্ণণের নামের মনোনয়নের বিষয়টি পেশ করা হবে। উপরাষ্ট্রপতি পদে ভোটাভুটি হবে কিনা তা এখনও নির্ভর করছে বিরোধীদের প্রার্থী দেওয়ার উপর।
আরও পড়ুন: পুলিশ এলেই আগুন লাগিয়ে দেব: ফাঁস শিক্ষক আন্দোলনের হিংসার স্বরূপ
ইতিমধ্যেই বিরোধীরা উপরাষ্ট্রপতির পর থেকে জগদীপ ধনকড়ের ইস্তফা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। রাজ্যসভায় বিরোধীদের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়ায় সরে যেতে হল ধনকড়কে, এমন প্রশ্নও তোলা হয়েছে। এমনকি উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরার পর থেকে ধনকড় নিভৃতবাসে চলে যাওয়ায় প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তাঁকে সরিয়ে আরএসএস-এর মুখকেই উপরাষ্ট্রপতি করার পরিকল্পনা ছিল বিজেপির, তা স্পষ্ট নাড্ডার ঘোষণায়।
–
–
–
–