শহরে পুজোর আবহ ঢুকতে আর ক’দিন! ঢাকের আওয়াজ শোনার আগেই কলকাতার মানুষ ও বাইরের অতিথিরা পাচ্ছেন এক অনন্য সুযোগ। আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর আলিপুর মিউজিয়ামে বসছে ‘দুর্গাপুজো আর্ট প্রিভিউ শো ২০২৫’। মাসআর্টের(MassArt) উদ্যোগে এবার চতুর্থ বর্ষে পা দিচ্ছে এই আয়োজন। এবারের আসরে থাকছে বেশ কিছু অভিনব উদ্যোগ।

একই সময়ে আলিপুর মিউজিয়ামে আয়োজিত হবে ‘অটাম আর্ট ফেয়ার ২০২৫’, যা বাংলার শিল্পীদের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। দুর্গাপূজার ২৪টি প্রতীকী শিল্প-স্থাপনার থিম অনুযায়ী তৈরি শিল্পবস্তু এখানে প্রদর্শিত হবে এবং অতিথি ও প্রতিনিধিরা তা ক্রয় করতে পারবেন। এর মাধ্যমে শিল্পীদের আয়ের সুযোগ যেমন বাড়বে, তেমনই তৈরি হবে B2B ও B2C সংযোগ, যা বাংলার শিল্পকর্মকে তুলে ধরবে ভারতীয় আর্ট ফেয়ার, আর্ট দুবাই ও আর্ট বাসেল-এর মতো আন্তর্জাতিক মেলায়।

সংগঠনের সম্পাদক ধ্রুবজ্যোতি বসু শুভ বলেন, দুর্গাপূজা আর্ট প্রিভিউ শো কেবলমাত্র প্রি-পুজো অনুষ্ঠান নয়, এটি বাংলার ঐতিহ্য ও আন্তর্জাতিক মঞ্চের মধ্যে এক জীবন্ত সেতুবন্ধন। আমাদের লক্ষ্য বাংলার ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা এবং শিল্পীদের শ্রমের সম্মান জানানো। একই সঙ্গে চাই, দুনিয়া যেন পুজোর প্রথম ঢাকের আগে বাংলার আত্মাকে অনুভব করে। ইউনেস্কো ও বিভিন্ন সরকারি দফতরের সমর্থন এবং শিল্পীদের সৃজনশীলতায় আমরা আত্মবিশ্বাসী, কলকাতা এক ওপেন-এয়ার গ্যালারিতে পরিণত হবে।২০২২ সাল থেকে শুরু হওয়া এই অনন্য প্রয়াস বিদেশি দর্শনার্থীদের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিক সূচনার আগে কলকাতার পুজো শিল্পকর্মের এক্সক্লুসিভ ঝলক দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে। এর ফলে দুর্গাপুজো আজ বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় পাবলিক আর্ট উৎসব হিসেবে জায়গা করে নিচ্ছে।

এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৌশিক বসাক, আইএএস, বিশেষ কমিশনার ও তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের ই.ও-ডিরেক্টর, অধ্যাপিকা হৈমন্তী বন্দ্যোপাধ্যায় (স্থাপত্য ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগ, আইআইটি খড়গপুর), ইতিহাসবিদ ড. জয়ন্ত সেনগুপ্ত (ডিরেক্টর, আলিপুর মিউজিয়াম) এবং ইউনেস্কোর এক বিশেষ প্রতিনিধি। এছাড়া ইউনেস্কো, আইআইটি খড়গপুর এবং মাসআর্ট একত্রে একটি বিশেষ কর্মসূচি চালু করবে—যাতে শহরের ২৪টি প্রতীকী দুর্গাপূজা শিল্পস্থলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন দর্শক ও প্রবীণ নাগরিকদের জন্য প্রবেশাধিকারের সুবিধা নিশ্চিত করা যায়।

আরও পড়ুন – উপাচার্য বাছতে বিতর্কিত দুই ব্যক্তি! নিয়োগ কমিটির প্রধানকে চিঠি অধ্যাপকদের

_

_

_

_

_

_