যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার শিকার হন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেই হামলা যে বাম সমর্থিত হামলাকারীদের দ্বারাই পরিচালিত ছিল, তা স্পষ্ট করে এবার হিন্দোল মজুমদারের সমর্থনে পথে নামল সিপিআইএম (CPIM)। রাজনৈতিক পতাকা বহন না করলেও নেতা নেত্রীদের উপস্থিতি স্পষ্ট করে দিল হিন্দোলের (Hindol Majumder) পরিকল্পনায় শিক্ষামন্ত্রীর উপর যে হামলা চলেছিল তা বামেদেরই পরিকল্পনা ছিল। সোমবার আলিপুর আদালত জামিন মঞ্জুর করে গবেষক পড়ুয়া হিন্দোল মজুমদারের।

যাদবপুরের (Jadavpur University) প্রাক্তনী হিন্দোল মজুমদারকে দিল্লি থেকে গ্রেফতারের পরে তাকে তিনদিন আগে আলিপুর আদালতে তোলা হলে রাজ্যের আইনজীবী দাবি করেন, রাজ্যের থেকে দূরে বাইরে বসেই যাদবপুরের হামলা পরিকল্পনা করেছিল হিন্দোল। সেখানেই তুলে ধরা হয় কলকাতায় আমেরিকান সেন্টারে হামলার প্রসঙ্গ। সেই হামলার মাস্টারমাইন্ড আফতাব আনসারি কলকাতার বাইরে বসেই হামলার পরিকল্পনা থেকে হামলা সংঘটিত করার কাজ করেছিলেন। তবে হিন্দোলের ক্ষেত্রে সেটা অসম্ভব কীভাবে হবে। সেই সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছিল ১ মার্চ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যে হামলার শিকার হয়েছিলেন ব্রাত্য বসু, সেখানেই পোড়ানো হয়েছিল জাতীয় পতাকা। দেশের জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগেরও প্রমাণ হিন্দোলের বিরুদ্ধে রয়েছে বলে দাবি রাজ্য পুলিশের।

রাজ্যের তরফ থেকে একাধিক অভিযোগ আদালতে প্রমাণ-সহ তুলে ধরার পরে হিন্দোলের মুক্তির দাবিতে সোমবার যাদবপুরে মিছিলের আয়োজন করা হয়। হিন্দোলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সরব হন অম্বিকেশ মহাপাত্র থেকে কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী নন্দিনী মুখোপাধ্যায়। মিছিলের মুখই স্পষ্ট করে দেয় ১ মার্চ কোন রাজনৈতিক দলের প্রত্যক্ষ মদতে হামলা চালানো হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) গাড়িতে।

আরও পড়ুন: বিরোধীরা একজোট: সংসদে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট!

দিল্লি থেকে হিন্দোলকে (Hindol Majumder) কলকাতায় আনার পরে আলিপুর আদালতে তোলা হলে তিনদিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছিলেন বিচারক। সেই মেয়াদ শেষে সোমবার তাকে ফের আদালতে তোলা হলে জামিন মঞ্জুর হয়। রাজ্যের তরফে জেল হেফাজতের আবেদন করা হলে এদিন আফতাব আনসারির প্রসঙ্গ আর তোলা হয়নি। হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাটের উল্লেখ করা হয় রাজ্যের তরফে। শুনানি শেষে মঞ্জুর হয় জামিন।

–

–

–

–

–
