গলায় ফাঁস লাগিয়েই মৃত্যু হয়েছে সিঙ্গুরের নার্স দীপালি জানার (Dipali Jana)। তাঁর দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। হুগলির সিঙ্গুরের (Singur) নার্সের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে কল্যাণী এইমস। আর এই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করেছেন তৃণমূল (TMC)। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, শকুনের রাজনীতি করছে বিরোধীরা। তাঁদের নাকখত দিয়ে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।
গত বুধবার রাত ১১টা নাগাদ নার্সিংহোমে দীপালি গলায় দড়ি দেন বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে নেমে নার্সিংহোমের মালিক এবং মৃতার প্রেমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। আত্মহত্যার কথা বললেও দীপালিকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিরোধীরা। তারাই পরিবারকে উস্কিয়ে দেহের ময়নাতদন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন হাসপাতালে করাতে চান। সেই মতো ময়নাতদন্ত হয় কল্যাণী এইমস্-এ। চার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করেন। পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়ায় মৃত্যু হয়েছে দীপালির (Dipali Jana)। শারীরিক নির্যাতনের কোনও চিহ্ন নেই।
এই রিপোর্টের পরেই সরব হয় তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জানান, যে কোনও মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু যে ভাবে রাম-বাম কুৎসিৎভাবে দেহ দখল করতে চেয়ে টানাটানি করেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। পরিবারের দাবি মতোই কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়েছে। আর সেখানেই বিরোধীদের মিথ্যাচারের পর্দাফাঁস হয়েছে। মৃত্যু নিয়ে শকুনের রাজনীতি করা বিরোধীদের উচিৎ এই ঘটনায় এবার প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চাওয়া।
–
–
–
–
–
–
–