কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরোধিতায় লাগাতার বিরোধী দলগুলি সংঘবদ্ধ হয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সংসদে। অধিবেশন চলাকালীন যেমন সংবিধান সংশোধনী থেকে ওয়াকফ আইন (WAQF law) – সব কিছুর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে, তেমনই সংসদের বাইরেও প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন বিরোধী অন্যান্য সাংসদদের সঙ্গে তৃণমূল সাংসদরাও। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রের সেই সব জনবিরোধী নীতি নিয়ে রাজ্যে প্রতিবাদের অছিলায় বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা আইএসএফ-এর। বুধবার বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui) ও তাঁর অনুগামীদের বিশৃঙ্খলার চেষ্টা কড়া হাতে দমন করে বিধায়ককে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।
পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, কার্যত গুণ্ডামির পর্যায়ে চলে যায় বুধবার ধর্মতলায় আইএসএফ-এর (ISF) প্রতিবাদ। সপ্তাহের মাঝে ব্যস্ত সময়ে শহরের প্রাণকেন্দ্রে যানজট করে বিক্ষোভ দেখানোর অপচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় কলকাতা পুলিশ। সাধারণ মানুষের জনজীবন সচল রাখতে শুরু হয় ধরপাকড়। পুলিশ গ্রেফতার শুরু করতেই পুলিশের গাড়ির সামনে শুয়ে হুলুস্থুলু বাধানোর চেষ্টা করে আইএসএফ কর্মীরা।
কেন্দ্রের নতুন ওয়াকফ আইন (WAQF law) বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui) ও তাঁর অনুগামীরা। কেন্দ্রের এই জনবিরোধী আইনের বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন এই বিভেদের আইন বাংলায় কার্যকর হবে না। তা সত্ত্বেও কী উদ্দেশ্য নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন আইএসএফ বিধায়ক ও কর্মীরা, তা-ই স্পষ্ট নয়। আদতে দীর্ঘদিন প্রচারের আলোয় আসতে না পারায় পথে নেমে খবরে থাকার চেষ্টা চালায় তারা।
আরও পড়ুন: বিজেপির RSS নীতির পাল্টা সংবিধান: উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকে সমর্থন সব বিরোধী দলের
কলকাতা পুলিশের তরফে ধর্মতলায় ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পুলিশের ধরপাকড়ের পরে আবার পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে অসুস্থ হয়ে পড়ার নাটকও করেন নৌশাদ।
–
–
–
–
–