বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শেষ দিনে সংসদ উত্তাল হল বাংলা গান, কবিতা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদে। সংসদের অন্দরে যেমন কালাকানুন, এসআইআর, ভাষাসন্ত্রাসের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়, তেমনই সংসদ চত্বরে বাংলাকে হেয় করা এবং অপমান করার প্রতিবাদে তৃণমূলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদেরা ঘুরে ঘুরে গাইলেন রবীন্দ্র-নজরুল গান, করলেন নানা কবিতা আবৃত্তি। অন্য সাংসদেরা দাঁড়িয়ে দেখলেন বাংলার সাংসদদের প্রতিবাদের গান।

এদিন রাজ্যসভায় অমিত শাহ ঢুকতেই শোনা গেল গো-ব্যাক স্লোগান। সেই সঙ্গে চলল গান-কবিতার মাধ্যমে প্রতিবাদ। ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়, সাগরিকা ঘোষ-সহ অনেকে উচ্চকণ্ঠে আবৃত্তি করলেন, অন্যরা গাইলেন রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের গান। চারদিক থেকে তাঁদের ঘিরে দাঁড়িয়ে রইলেন অন্য দলের সাংসদরাও। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি পরিকল্পিতভাবে বাংলাকে হেয় করছে। রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা টিকিয়ে রাখতে না পেরে এখন সরাসরি বাংলা ভাষা ও বাংলাভাষীদের আক্রমণ করছে। এর জবাব বাংলার মানুষই দেবেন—সাফ জানিয়ে দিলেন সাংসদরা। প্রতিবাদের আঁচ এতটাই তীব্র যে, রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের শেষ দিনের চা-চক্রে যোগ দেননি তৃণমূল সাংসদরা। তাঁদের বক্তব্য, বাংলার মর্যাদা খর্ব করার পাশাপাশি বিরোধীদের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে কালাকানুন আনা হচ্ছে। এই সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার প্রশ্নই ওঠে না।

এদিকে, বুধবার আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজুর বিরুদ্ধে তিন তৃণমূল সাংসদকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার বিহিত চেয়ে এদিন স্পিকারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান শতাব্দী রায়, মিতালি বাগ এবং মহুয়া মৈত্র। তৃণমূল কংগ্রেস জানাচ্ছে, সংসদে এবং সংসদের বাইরে এই লড়াই চলবে, যতদিন না বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন- নোবেল খুঁজতে ব্যর্থ CBI, রাজ্য পুলিশ উদ্ধার করল বুলার পদ্মশ্রী: পুলিশও পদক পাক চান সাঁতারু

_

_

_

_

_

_

_