বাংলায় পুজো করতে গেলে আদালতের অনুমতি লাগে। প্রায় প্রতিদিন ছুটে ছুটে এসব প্রচার করে বেড়াচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই রাজ্যে এসে বাঙালির দুর্গা পূজার আনন্দ নিয়ে অপমান করতে ছাড়েননি নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) থেকে অমিত শাহ (Amit Shah)। শুক্রবার সেই নরেন্দ্র মোদির গলাতেই উল্টো সুর। মোদির মুখে বাংলায় দুর্গাপুজোর (Durgapuja) আনন্দের কথা শুনে কটাক্ষ শাসক দল তৃণমূলের।

বাংলার রাজনীতিকে ধর্মের ভিত্তিতে বাঁধতে চাইছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যে নরেন্দ্র মোদির মুখে ফের একবার দেব-দেবীদের নাম। আর এবার নিজের নাম গানে নিজের পাতা ফাঁদে নিজেই পা দিলেন নরেন্দ্র মোদি। হিন্দু ধর্মের পুজোয় বাংলায় অত্যাচারের মুখে পড়তে হয়, দাবি করেছিলেন এক সময় মোদিই। সেই মোদিই এবার দাবি করলেন বাংলায় দুর্গাপুজোয় আনন্দের আবহ।

শুক্রবার বিজেপির রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) দাবি করেন, আমি এমন সময়ে কলকাতায় এসেছি যখন দুর্গাপুজোর (Durgapuja) প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কুমোরটুলিতে মাতা দুর্গার প্রতিমা তৈরি হচ্ছে। বড়বাজার থেকে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত কলকাতা নতুন রঙে নতুন ভাবে সেজে উঠছে। আস্থা আর আনন্দের পর্বের সঙ্গে বিকাশের পর্ব জুড়লে খুশি দ্বিগুণ হয়।

পাল্টা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja) প্রশ্ন তোলেন, তিনি বলেই দিলেন বিগত দিনগুলিতে যে বক্তব্যগুলি রেখেছিলেন, তাকে খারিজ করে বলেই দিলেন। কলকাতায় এত আনন্দের পরিবেশ। যেখানে তাঁরা বলতেন দুর্গাপুজো হয় না। অথবা দুর্গাপুজো করতে গেলে কোর্টে যেতে হয়। সেগুলো সব খারিজ করে দিলেন। বললেন এখন দুর্গাপুজোর সমস্ত প্রস্তুতি, কুমোরটুলিতে প্রতিমা তৈরি।

আরও পড়ুন: ইমান বেচলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী: শিখ সম্প্রদায়ের অপমানে নীরব রবনিতকে প্রশ্ন তৃণমূলের

বাংলার বিরুদ্ধে কুৎসা করা মোদিকে মন্ত্রী শশী পাঁজার স্পষ্ট দাবি, সবটা নিয়ে তিনি খুব আনন্দ প্রকাশ করেছেন। কার জন্য এই আনন্দটা? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জন্যই কিন্তু এই আনন্দটা হয়।

–

–

–

–
