প্রতিযোগিতায় দুরন্ত শুরুটা করলেও শেষরক্ষা করতে পারল না। একটানা ম্যাচ। নর্থইস্ট ইউনাইটেডের(North East United) বিরুদ্ধে খানিকটা ক্লান্তিটাই যেন ফাইনালের মঞ্চে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়াল ডায়মন্ডহারবার এফসির। ফাইনালে পৌঁছেই ইতিহাসটা তারা তৈরি করে ফেলেছিল। বাংলার দল হিসাবে ফাইনাল জেতার হাতছানিও ছিল তাদের সামনে। কিন্তু কিবু ভিকুনার কয়েকটা ভুলেই হয়ত সব শেষ হয়ে গেল। নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কাছে ৬-১ গোলে হেরে গেল ডায়মন্ডহারবার এফসি (DHFC)। আর ভিআইপি বক্সে নর্থইস্ট কর্ণধার জন আব্রাহামের উচ্ছ্বাসটা তখন দেখার মতো ছিল। এদিন চওড়া হাসি ফুটল তাঁর মুখে। এই নিয়ে পরপর দুবার ডুরান্ডের মুকুট মাথায় তুলল নর্থইস্ট(NORTHEAST uNITED)।
এদিন নর্থইস্টের(NorthEast United) বিরুদ্ধে শুরুটা বেশ ভালোভাবেই করেছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি। প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যে কয়েকটা সুযোগও পেয়ে গিয়েছিল তারা। সেগুলো কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতেই পারত। যদিও সেটা হয়নি। একা আলাদিন আজারেই এদিন ম্যাচের রংটা বদলে দিলেন। একেবারে শেষে পেনাল্টি থেকে গোলও পেলেন তিনি। এদিন তাঁকে আটকানোর ছকটাই হয়ত এদিন কিবু ভুল করে ফেলেছিলেন। আর তারই খেসারতটা দিতে হল ডায়মন্ডহারবার এফসিকে।
প্রথমার্ধের ঠিক ১৭ মিনিটের পর থেকে ম্যাচের রাশ ধরতে থাকে নর্থইস্ট ইউনাইটেড। সেই আলাদিনের পা থেকেই একের পর এক শক্তিশালী আক্রমণ ধেয়ে আসে ডায়মন্ডহারবারের বক্সে। সেখানেই ৩০ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল আসিরের। কার্যত মির্শাদ মিশুর ভুলেই প্রথম গোল। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের গোল নর্থইস্টের। এবারও নেপথ্য নায়ক সেই আলাদিন।
বিরতির পর ম্যাচ শুরু হতেই ফের গোল নর্থইস্টের। কিন্তু হাল ছাড়েনি ডায়মন্ডহারবার এফসি। মাচেনের গোলে ব্যবধান কমায় তারা। কিন্তু এরপরই নর্থইস্ট আরও চাপ বাড়াতে শুরু করে নর্থইস্ট। সেখানেই শেষপর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি ডায়মন্ডহারবার এফসি। এরপরই গোলের বন্যা বইয়ে দেয় ডায়মন্ডহারবার এফসি। তাদের হয়ে গোল করেন থই, জাইরু এবং অ্যান্ডি। এবং শেষ গোলটি পেনাল্টি থেকে আালাদিন আজারের।
–
–
–
–
–
–
–